হ্যারি পোর্টারের মতোই অদৃশ্য হবেন নিমেষেই, এই আচ্ছাদন আছে যে
কলকাতা টাইমস :
সবার চোখের আড়ালে থেকে জাদুর স্কুল হগওয়ার্টস ঘুরে বেড়িয়েছিল হ্যারি পটার। এর জন্যে সে একটি আচ্ছাদন ব্যবহার করে। বাস্তবে কি এমন কোনো আচ্ছাদন রয়েছে যা বস্তুকে অদৃশ্য করে দিতে পারে? এমনটা কল্পনাতেই রয়েছে। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা এমন দুটো পদার্থ নিয়ে গবেষণা করছেন যা কিনা অন্য কিছুকে অদৃশ্য করে দিতে পারে। কোনো বস্তু সামনে থাকলেও ক্যামেরা বা রাডারে তা ধরা পড়বে না।
আমেরিকার লোয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক সম্প্রতি ‘নেচার’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তারা নতুন এক ধরনের পদার্থের কথা বলেছেন। এগুলো রাডারের চোখ ৭৫ শতাংশ ফাঁকি দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা দুটো পৃথক রিং নেন। এগুলো সিলিকন শিটে মোড়ানো যাতে রয়েছে গ্যালিস্টন। রিংগুলো অনুরণন সৃষ্টি করে। এই রিং দুটো এক করে ফেলেন। তত্ত্বীয়গতভাবে সিলিকন শিটে মোড়ানো এই গ্যালিস্টন একটি ফাইটার জেটকেও অদৃশ্য করে দিতে পারে।
গ্যালিস্টন এক ধরনের ধাতব অ্যালয় যা কক্ষের তাপমাত্রায় তরল হয়ে যায়। আবার এটা পারদের মতো বিষাক্ত নয়। ওই রিং দুটো বৈদ্যুতিক আবেশক যন্ত্র হিসাবে কাজ করে। এদের মধ্যকার শূন্যস্থান বৈদ্যুতিক ক্যাপাসিটর হিসাবে কাজ করে। এরা অনুরণন সৃষ্টি করে। শব্দের এই কম্পন রাডারের তরঙ্গকে ফাঁকি দিতে পারে।
কোনো বস্তু এর মাধ্যমে ঢেকে ফেলা হলে যেকোনো কোণ থেকে রাডার তরঙ্গ শনাক্ত করতে সক্ষম হয় না। এটা আসলে কোনো প্রযুক্তি নয়, বরং কার্যকর একটা পদ্ধতি।
এদিকে, বার্কেলের এক দল বিজ্ঞানী অদৃশ্য করতে সক্ষম এমন একটি আচ্ছাদন নিয়ে কাজ করছেন। এরা আলোর প্রতিফলন ঘটিয়ে চোখের আড়াল করে দিতে পারে যেকোনো বস্তুকে।
এখন পর্যন্ত এই অদৃশ্যকারী আচ্ছাদন ব্যাপক আকারে উৎপাদনে যায়নি। গবেষণা চলছে। অতি ক্ষুদ্র বস্তুকে অদৃশ্য করতে এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।