ম্যানগ্রোভ আর নদীর সঙ্গমস্থলের হাতছানি বার-বার

ভিতরকণিকা(Bhitarkanika) –ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ব্রাহ্মণী ও বৈতরণী নদীর সঙ্গমস্থলে ভিতরকণিকা। ১৯৭৫ সালে এই অরণ্য অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি পায়। হেতাল, গরাণ, সুন্দরী, গেঁও- নানান ম্যানগ্রোভ গাছগাছালিতে ছাওয়া অরণ্যের বাসিন্দা হরিণ, চিতা, বুনো শুয়োর, বন বিড়াল আর নানান প্রজাতির পাখি। শীতের দিনে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখির দল। নদীর জলে কুমির, কচ্ছপ আর মাছেদের আনাগোনা। পৃথিবীর বৃহত্তম কুমীরের দেখা পাওয়া যেতে পারে এখানেই।শীতে সমুদ্রতীর ঢেকে যায় ডিম পাড়তে আসা হাজার হাজার অলিভ রিডলে কচ্ছপ।
যাওয়াঃ– নিকটতম রেলস্টেশন ভদ্রক। স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ড পৌঁছে বাস বা প্রাইভেট গাড়িতে ৫০ কিমি দূরে চাঁদবালি। চাঁদবালি থেকে লঞ্চে নলতাপেটিয়া ঘাটে পৌঁছে রিকশায় ৪কিমি দূরে ভিতরকণিকা।
থাকাঃ– চাঁদবালিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অরণ্যনিবাস।
সিমলিপাল অভয়ারণ্য (Simlipal)-ওড়িশার আর এক অভয়ারণ্য সিমলিপাল। ময়ুরভঞ্জ জেলায় ২৭৫০ বর্গকিমি ব্যপী এই বনভূমির বিস্তার। বাঘ, হাতি, সম্বর, লেপার্ড, হরিণ, গাউর আর পাহাড়ি ময়না, ময়ূরের রাজত্ব এই বনভূমি। বরেহপানি ও জোরান্ডা – দুটি জলপ্রপাতও রয়েছে এই অভয়ারণ্যে।
যাওয়াঃ– নিকটতম রেলস্টেশন বালেশ্বর। বালেশ্বর থেকে ৬০কিমি দূরে বারিপদা। বারিপদা থেকে ৩৫কিমি দূরে বাংরিপোশি। বাংরিপোশি থেকে সিমলিপালের দূরত্ব ৫৯কিমি। অন্যথায় বারিপদা থেকে সরাসরি ৯০কিমি দূরে যোশিপুর দিয়েও অভয়ারণ্যে ঢোকা যায়।
থাকাঃ– সিমলিপালের অভয়ারণ্যে চাহালা, নওয়ানা, জোরান্ডা, বরেহিপানি, গুড়গুড়িয়া, যোশিপুর এসব জায়গায় বনবাংলো আছে। বনবাংলো বুকিং-এর জন্য বারিপদা ট্যুরিস্ট অফিসে, সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টরের সঙ্গে বা ও টি ডি সি ভুবনেশ্বরে যোগাযোগ করতে হবে।