আয়না ভেঙে ফেলেছেন, ভাগ্যে কি কুপ্রভাব পড়তে চলেছে ?
কলকাতা টাইমস :
আমাদের ঘিরে রেখেছে অনেক বিশ্বাস, কিছু অন্ধবিশ্বাসও। সেই সব ধারণা অনুযায়ী, মাঝে মধ্যেই আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন অনেক কাজ করে ফেলি, যা আমাদের জীবনে ডেকে আনে অশান্তি। যেমন সেই আদি কাল থেকে অনেকে বিস্বাস করে আসছেন যে আয়না ভাঙা মোটেও শুভ নয়। এমনটা করলে নাকি… সত্য-মিথ্যা জানা নেই।
বাস্তবিকই কি আয়না ভাঙার সঙ্গে ভাগ্যের কোনও যোগ রয়েছে?
একটা কথা ঠিক যে, সব কিছুতে যুক্তি খোঁজার চেষ্টা করাটা বৃথা। তাই তো নিজের এবং পরিবারের স্বার্থে কিছুটা সাবধান হতে ক্ষতি কী! কে বলতে পারে কী থেকে কী হয়ে যায়! একাধিক প্রাচীন বইয়ে এমনটা লেখা আছে যে, একবার আয়না ভাঙলে প্রায় ৭ বছর ভাগ্য খারাপ থাকে। কেন এমনটা মনে করা হয়? এমন কোনও ঘটনা কি ঘটেছে কারও সঙ্গে? চলুন একবার চোখ রাখা যাক সেদিকে।
এই ধারণার সৃষ্টি রোমান সাম্রাজ্যে
আয়না ভাঙলে খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে, এই ধারনার জন্ম হয়েছিল রোমান সাম্রাজ্যে। কেন জানেন? একাধিক ঐতিহাসিকের মতে কাঁচের অবিষ্কার প্রথম হয়েছিল রোমানদের হাতেই। তাই এই ধারণার জন্ম রোম ছাড়া আর কোথাও হতে পারে না।
এমনটাও বিশ্বাস করা হয়…
রোমান, গ্রিক, চাইনিজ, আফ্রিকান এবং ভারতীয়রা এমনটা বিশ্বাস করেন, যে ব্যক্তি আয়না ভেঙেছে তার আত্মার উপর কুপ্রভাব ফেলার ক্ষমতা রয়েছে সেই আয়নার মধ্যে। কথাটা মানতে অনেকেরই কষ্ট হবে ঠিকই। কিন্তু এতগুলি দেশের প্রাচীন নথিতে এমনটা লেখা রয়েছে। তাহলে কি সত্যিই এমন ধারনার কোনো ভিত্তি নেই?
প্রতিচ্ছবি যদি বিকৃত হয়ে যায়
এমনটা আমি আমার দিদার কাছে একবার শুনেছিলাম যে ভাঙা আয়নায় নিজের মুখ দেখতে নেই। এমনটা নিশ্চয় আপনারাও শুনে থাকবেন। কিন্তু বয়স্ক মানুষেরা কেন এমন ধরণায় বিশ্বাস রাখতেন? এর উত্তর জানতে গিয়ে নজর পড়েছিল কিছু পুঁথিতে। সেখানে লেখা ছিল কারও প্রতিচ্ছবি যদি ভাঙা আয়নার উপর পড়ে বিকৃত হয়ে যায়, তাহলে ওই মানুষটি ধীরে ধারে খারাপ হতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, কেউ আয়না ভাভলে তার আত্মা নাকি সেই ভাঙা আয়নার মধ্যে আটকে যায়। যে কারণে ওই ব্যক্তির জীবনে কিছুই ভাল হয় না।
এমনও বিশ্বাস আছে যে…
ভাঙা আয়না নাকি ভাঙা আত্মার মতোই। তাই এমন আয়না ঘরে বা সঙ্গে রাখা একেবারেই উচিত নয়। এই লেখাটি পড়ে হয়তো আজগুবি মনে হতে পারে। কিন্তু এমন কাজ করার কি কোনও প্রয়োজন আছে যা থেকে নিজের বা পরিবারের সামান্য ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে? উত্তরটা মনে হয় ‘না’ হওয়াই ভাল।