কামাল করলো নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সফটওয়্যার, সন্ধান দিলো ২৯৩০ জন নিখোঁজ শিশুর !
নিউজ ডেস্কঃ
ভারতে প্রতি বছর অসংখ্য শিশু নিখোঁজ হয়। ১৩০ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে নিখোঁজদের খুঁজে বের করা খুবই কষ্টসাধ্য পুলিশ-প্রশাসনের জন্য। এবার সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে এসেছে একটি সফটওয়্যার। নোবেলজয়ী সমাজসেবী কৈলাশ সত্যার্থীর সংগঠন বচপন বাঁচাও আন্দোলনের তৈরি ‘এফআরএস সফটওয়্যার’ ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে পুলিশ।
মাত্র পাঁচ দিনে, গত ৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল -এর মধ্যে শুধু দিল্লি শহরেই সন্ধান মিলেছে ২৯৩০ জন নিখোঁজ শিশুর। নিরাপত্তার স্বার্থে এই সফটওয়্যারের খুঁটিনাটি জানানো হয়নি। তবে বর্তমানে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার হচ্ছে দু’টি পদ্ধতিতে – জিওমেট্রিক ও ফোটোমেট্রিক। জিওমেট্রিক পদ্ধতি মূলত অবয়ব-নির্ভর। মুখমণ্ডলের বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ করে দু’টি ছবির বাহ্যিক অবয়ব ও প্রতিটি প্রত্যঙ্গের বৈশিষ্ট ও তাদের মধ্যে ব্যবধান পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয় এটি। অন্যদিকে, ফোটোমেট্রিক পদ্ধতিতে নিখোঁজ শিশুর ছবিটিকে পিক্সেলে ভাগ করা হয়। এবার অপর ছবিটিকে একইভাবে পিক্সেল আকারে টুকরো টুকরো করে সেই পিক্সেল-তথ্য যাচাই করা হয়।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ বছরে দেশে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার শিশু নিখোঁজের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। স্বভাবতই বাস্তব সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। বেশ কিছু সংগঠন এই নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। তাদের হিসেব বলছে, ভারতে প্রতি বছর নিখোঁজ হওয়া শিশুর সংখ্যা ৫ লাখ। এখন নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা হিসেবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী একটি অনলাইন তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলেছে, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ট্র্যাক চাইল্ড’। এখানে নিখোঁজ ও খুঁজে পাওয়া শিশুদের ছবি পোস্ট করা যায়, দেখা যায় বিবরণ। এছাড়া ওয়েবসাইটে ক্লিক করে পুলিশে খবরও দেওয়া যায়।
এই সফটওয়্যারের সাফল্য দেশের শিশুসুরক্ষায় নতুন দিশা এনে দিয়েছে বলে মনে করছে ‘দ্য ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশান অফ চাইল্ড রাইটস’ (এনসিপিসিআর)। সংস্থার সদস্য যশোবন্ত জৈন জানান, ‘এই ধরনের আধুনিক পদ্ধতি নিখোঁজ শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সহায়ক হয়ে উঠবে। তাই এর আরও বেশি রকম ব্যবহার প্রয়োজন।