OMG : আড়াই কেজি কাঁঠালের দাম ১০ লাখ!
কলকাতা টাইমস :
ফলের জগতে কোনো দিনই অভিজাত হয়ে উঠতে পারেনি কাঁঠাল। এই ফলের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। অবশ্য সবাই একই অভিযো করে, তা নয়। তবে যারা অভিযোগ করে, তারা কিন্তু কম যায় না। একে তো ‘দুর্গন্ধ’। একবার খেলে মুখ থেকে গন্ধ যায় না। গা যেন গুলিয়ে ওঠে! অনেকের হজমেরও সমস্যা। গোটা কাঁঠাল খাওয়ার ঘটনা গল্প–উপন্যাসেই পাওয়া যায়। বিশেষ করে শহুরে বাঙালি কাঁঠাল থেকে শত হস্ত দূরে। তাই চালু প্রবাদও রয়েছে— অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা। বা, এ পাড়ে কাঁঠাল ভাঙল/ ও পাড়ে গন্ধ গেল–র মতো নেতিবাচক কথা। ভারতীয় রাজ্য কর্নাটকের এক চাষীর গল্প শুনলে অবশ্য কাঁঠাল নিয়ে উন্নসিকতা কাটবে বইকি!
কর্নাটকের টুমাকুরু জেলার ছিল্লুর গ্রামে এসএস পরমেশার বাগানে একটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। সাধারণ কাঁঠালের গড় ওজন যেখানে ১০ থেকে ২০ কিলো হয়, পরমেশারের বাগানের এই কাঁঠালের ওজন কোনোমতে আড়াই কিলোগ্রাম হবে। ছোট কাঁঠাল, তাই বিক্রি না করে বন্ধু–বান্ধব–আত্মীয়দের উপহার দেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাঁঠাল চেয়ে আবদারও করেন। খুশি মনে সে আবদার মেটান পরমেশা। আর সেই আবদারের কাঁঠালই তাকে বছরে ১০ লাখ টাকা উপার্জনের সুযোগ করে দিলো।
সম্প্রতি পরমেশার সঙ্গে ভারতীয় উদ্যানপালন গবেষণা সংস্থা (আইআইএইচআর) মউ স্বাক্ষর করেছে। তিনি ওই বিশেষ জাতের কাঁঠালের চারা তৈরি করবেন। আর সেই কাঁঠাল চারা নিজেদের ব্রান্ডে বিক্রি করবে আইআইএইচআর। বিক্রি বাবদ অর্থের ৭৫ শতাংশ পাবেন পরমেশা। ইতিমধ্যে ১০ হাজার কাঁঠাল চারার বরাত পেয়েছে আইআইএইচআর। ৩৫ বছর আগে পরমেশার বাবা এস কে সিদ্দাপ্পা এই কাঁঠাল গাছ বসিয়েছিলেন। সেই কাঁঠাল গাছের সূত্রেই ভাগ্য খুলে গেল পরমেশার।
কী রয়েছে এই কাঁঠালে?
তামার রং–য়ের কাঁঠালের কোয়াগুলো অনেক বেশি পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য। তাই সাধারণ কাঁঠালের থেকে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে এই কাঁঠাল। টুমাকুরুকে এই বিশেষ প্রজাতির কাঁঠালের অভিভাবক ঘোষণা করা হয়েছে।