সম্প্রীতির বিরল নজির গড়লো বন্যাকবলিত কেরলের মানুষ!
কলকাতা টাইমসঃ
কেরালায় বন্যায় মসজিদ ডুবে যাওয়ায় গত বুধবার ঈদের দিন মন্দিরে মুসলমানদের নামাজ পড়ার সুযোগ করে দেয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এবার সেই কেরালায় মসজিদে ১৭টি হিন্দু পরিবারকে আশ্রয় দিলো মুসলমানরা। ওইসব হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা এখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় আক্রান্ত এলাকার মানুষ নিজের গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে বেশ কিছু অনন্য সাধারণ মানবিক গল্পের। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের সেসব উদাহরণ সাধারণ মানুষদের আপ্লুত করছে।
কেরালার দক্ষিণ মালাপুরামে আরো একটি ঘটনা প্রকাশ পেল। সেখানকার জুমা মসজিদে আশ্রয় পেয়েছে বন্যা দুর্গত ১৭টি হিন্দু পরিবার। শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষসহ গৃহহীন পরিবারগুলো মসজিদে শুধু থাকছেন না সেখানে খাবারও পেয়েছেন। এমনকি বাড়ি ফেরার সময় তাদেরকে দেওয়া হয়েছে গৃহস্থলি কাজের জরুরি কিছু জিনিসপত্রও। মসজিদে আশ্রয় নেওয়া মোট ৭৮ জনের অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
কেরালার এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অধিকাংশ মসজিদ। যে কারণে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি কেরালার অধিকাংশ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে ওই দিনও সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন থৃসুর জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মালায় জেলার পুরাপ্পিল্লিকাভু রক্তেশ্বরী মন্দিরের দরজা তারা খুলে দিয়েছিলো মুসলিমদের জন্য।