নিশ্চিন্ত হলেন নাকি ! পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ মানেই করোনামুক্ত নয়
কলকাতা টাইমস :
উন্নত ও সুসংগঠিত চিকিৎসাব্যবস্থার দেশগুলো করোনভাইরাস আক্রান্তদের শনাক্তে মেডিক্যাল পরীক্ষার আওতা যথাসম্ভব বাড়িয়েছে। সংক্রমণ নিশ্চিত হলে তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষায় ভাইরাস না পাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। আর এ ধরনের ঘটনায় বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মায়ো ক্লিনিকের সংক্রামক রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রিয়া সম্পতকুমার বলেন, ‘পরীক্ষায় ভাইরাস ধরা পড়বে কি না, তা নানা বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।’ এ ব্যাখ্যায় তিনি জানান, হাঁচি-কাশি বা এজাতীয় শারীরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কতটা ভাইরাস বের করছেন, মেডিক্যাল পরীক্ষার নমুনা কিভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, অভিজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে যথাযথভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কি না, নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য আনতে রাস্তায় কতটা সময় লেগেছে, এমন অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পরীক্ষার ফলাফল।
বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স হসপিটালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড্যানিয়েল ব্রেনার জানান, এক ব্যক্তির মধ্যে কভিড-১৯ রোগের সব উপসর্গ ছিল, অথচ তার নমুনা তিনবার পরীক্ষা করার পরও নেগেটিভ ফল পাওয়া যায়। এরপর তার শ্বাসনালির মধ্য দিয়ে ক্যামেরা ঢুকিয়ে ফুসফুস পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং বিশেষ ব্যবস্থায় সেখান থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার পর ভাইরাসের উপস্থিতির ব্যাপারে পজিটিভ ফল পাওয়া যায়। এ রোগীর পরীক্ষার ফল নেগেটিভ পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তার মাধ্যমে আরো বহু লোক আক্রান্ত হতে পারত। তাই শুধু প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষার ওপর নির্ভর না করে উপসর্গ, রোগীর ইতিহাসসহ সব বিষয়ে নজর দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।