September 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

জেরুজালেম প্রশ্নে আবারো সৌদির ‘না’ আমেরিকাকে 

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্কঃ

তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নিতে আমেরিকা যে পরিকল্পনা করছে, তা পুনরায় প্রত্যাখ্যান করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে সম্প্রতি নানা হিসাব-নিকেশ মিলিয়ে ওয়াশিংটন-রিয়াদ ‘ঘনিষ্ঠ’ মিত্রের মতো আচরণ দেখালেও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে ফের ‘পিঠ দেখালেন’ সৌদি বাদশাহ।

রবিবার , ১৫ এপ্রিল সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় দাহরানে আরব লীগের এক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতা দেওয়ার সময় সালমান বলেন, আমরা জেরুজালেমের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের কথা আবারো জানাচ্ছি। পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিন অঞ্চলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সপ্তাহ দুয়েক আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে তাদের ভিটেমাটি ফিরে পেতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ এখনো জারি রয়েছে। এই বিক্ষোভের মধ্যে সৌদির প্রভাবশালী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়ে বলেন,  নিজেদের ভূমিতে বসবাসের অধিকার ইসরায়েলের আছে। এমন একটি শান্তিচুক্তি দরকার যেন সব পক্ষই স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করতে পারে।

যদিও গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে সেখানে দূতাবাস স্থাপনের কথা জানানোর পর পাল্টা সৌদি আরবেরই নেতৃত্বে ইসলামী দেশগুলোর জোট ওআইসি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়, তথাপি মোহাম্মদ বিন সালমানের ওই বক্তব্যে মুসলিম বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়। কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র সফর করে আসা মোহাম্মদ বিন সালমানের এই বক্তব্যকে সরাসরি ইসরায়েল-সমর্থনও ধরে নিচ্ছিলেন অনেকে।

বিষয় ‘স্পষ্ট করে’ বাদশাহ সালমান বলেন, সৌদির মূল করণীয় বিষয়ের মধ্যে অবশ্যই ফিলিস্তিন ইস্যু থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনিরা তাদের সব ন্যায্য অধিকার বুঝে পান। তাদের অধিকারের মধ্যে প্রধানতম হলো পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপনে ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা করেন সৌদি বাদশাহ।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতে ইরানের ‘হস্তক্ষেপ’র অভিযোগ তুলে সালমান বিন আবদুল আজিজ বলেন, সৌদি শহর লক্ষ্য করে (ইয়েমেনের) হুথি বিদ্রোহীদের ইরানে নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আরব অঞ্চলে ইরান যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তার নিন্দা করছি।

 

Related Posts

Leave a Reply