November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এতেই লুকিয়ে সাফল্যের গোপন চাবিকাঠি

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
নির্ভুল, নিখুঁত কাজ সবারই কাম্য। যেকোনো কাজে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন পারফেকশন। তবে সবকিছু ভুলে পারফেকশন নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তা অনেক সময় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাজের ক্ষেত্রে পারফেকশন জরুরি তবে তা যেন টিম স্পিরিট নষ্ট না করে। পারফেকশন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক সময় কাজের ডেডলাইনও পার হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে নিখুঁত কাজ করা দরকার। তা না হলে তা সুফল বয়ে আনে না।
সাফল্যের জন্য তাই কাজের পারফেকশন এবং সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি। জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে তাই ভারসাফ্য রক্ষা করুন সব কিছুতেই।
* সফল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের কাজ গুরুত্ব অনুসারে করা শুরু করে দিন। সকালের নাশতা তৈরি করা থেকে শুরু করে বিকেলে কীসে চড়ে বাড়ি ফিরবেন তা ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে সাজিয়ে ফেলুন।
* কাজের তালিকার মাঝে কোন কাজটি ওই মুহূর্তে আপনার জন্য জরুরি সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। *প্রয়োজনে সকালের কিছু কাজ আগের দিন এগিয়ে রাখুন।
* মন থেকে না আসলে সবাইকে খুশি করার জন্য নিজেকে জোর করে পারফেকশনিস্ট করবেন না।
* দায়িত্ব নিতে শিখুন। দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করার চেষ্টা করুন।
* কাজ করতে গিয়ে কোনো কিছু যদি সঙ্গে সঙ্গে মাথায় না আসে তাহলে ঘাবড়ে যাবেন না। কাজের ক্ষেত্রে প্ল্যান থাকা ভালো তবে এটাও মনে রাখুন যে, অনেক আইডিয়া কিন্তু প্ল্যান ছাড়াই জন্ম নেয়।
*কাজের কারণে নিজের ভালো লাগা, স্বাভাবিক ইচ্ছা কোনোটাই বিসর্জন দেবেন না। নিজের পছন্দের কাজের দায়িত্ব নিজে এগিয়ে নিন। এতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা সহজ হবে।
*কাজের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করুন। শুধু একটি পদ্ধতির সাহায্যেই যে সব কাজ করা যায়, তা নয়। প্রত্যেকের মানসিক গঠন, ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করার পদ্ধতিও আলাদা হয়।
* ব্যর্থতা বা কোনো কিছু না পারা মেনে নেয়াটা জরুরি। অনেক সময় কোনো কিছু না পারার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। অহেতুক এ নিয়ে না ভেবে পরের কাজে সময় দিন। *প্রত্যেকেরই কাজের একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। কিন্তু সেই লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে এগোনোর সময় আমরা অনেক সময় আশেপাশের দিকে তাকাতে ভুলে যাই। অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজেকে নিয়ে, নিজের কাজ নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকি। মোটকথা চারপাশের নতুন ঘটনাগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকি না। কাজের জন্য এমন আচরণ ক্ষতিকারক। সাফল্য মানে শুধু এগিয়ে যাওয়া নয়। সব বিষয়ে ওয়াকবহাল থাকার চেষ্টা করুন।
* নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। কাজের তালিকায় আত্ম-সমালোচনাও রাখুন।
* কোনো কাজ পুরোপুরি নিখুঁত করার মানসিকতা নিয়ে আপনি হয়তো একটা কাজ শুরু করলেন। কাজ শেষে দেখলেন তা আপনার মন মতো হয়নি। কী ভুল রয়ে গেছে বোঝার চেষ্টা করুন, পুরো ব্যাপারটা বিশ্লেষণ করুন। এরপর যেন সেই ভুল আর না হয় সেই চেষ্টা করুন।
* নিজের কাজ ছোট ছোট ভাগ করে নিন। এমন ভাবে ভাগ করুন যাতে আপনি সহজেই পুরো কাজটা সামলাতে পারেন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। *সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। আপনি কোন লক্ষ্যটা অর্জন করতে চান সেটা ভাবুন, কোনটা চান না সেটা নয়।
* দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। কাজের প্রাধান্য এবং কাজের ধরনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন।
* গতানুগতিক নিজের কাজের বাইরেও বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করুন। আপনার বাড়তি কাজের চেষ্টাই আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে।
* সফল হওয়ার জন্য থামতে শেখাটাও জরুরি। শুধু মেশিনের মতো কাজ করে যাওয়াটা সাফল্যের চাবিকাঠি নয়।
* নিজের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয় এমন লক্ষ্য স্থির করবেন না। তখন মনে হবে আরেকটু বেশি কাজ করলে বোধহয় সফল হওয়া সম্ভব হতো। এই মানসিকতায় নিজেকে বিচার করলে অহেতুক মনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

Related Posts

Leave a Reply