দানবাকৃতির ধারালো ছুরি ঝরবে বৃষ্টির মতো!
কলকাতা টাইমস :
মার্কিন মিলিটারির এক অতি গোপন অস্ত্রের তথ্য ফাঁস করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএস সেনাবাহিনী এমন এক হাতিয়ারের নকশা করেছে যার মাধ্যমে টার্গেটে আঘাত হানলে সাধারণ মানুষের মৃত্যু সংখ্যা কমিয়ে আনা যাবে। কিন্তু এটা কোনো ড্রোন থেকে ছোড়া নরক নামানো মিসাইল নয়। সেখানে থাকবে না কোনো বিস্ফোরক। নতুন মারণাস্ত্রের থাকবে ধাতব বস্তু। টার্গটে ফেলা হবে ১০০ পাউন্ড ওজনের ধাতব পদার্থ। আর তা ৬টা দানবীয় ছুরি হয়ে নেমে আসবে, আঘাত হানবে। এগুলো প্রয়োজনে একের পর এক ব্যবহার করলে ছুরি-চাকুর বৃষ্টি শুরু হবে শত্রুর ওপর।
ডাব্লিউএসজে জানায়, এই অস্ত্র নিয়ে কাজ এগিয়েছে ওবামার প্রশাসনের অধীনে। এর ব্যবহার ঘটবে বিশেষ পরিস্থিতিতে। এর আম আর৯এক্স। এর ব্যবহার এমন স্থানে ঘটবে যেখাবে হেলফায়ার মিসাইল ব্যবহার করলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা থেকে যায়।
এরই মধ্যে আর৯এক্স দিয়ে দুটো অপারেশন পরিচালিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। একটি অপারেশন এই জানুয়ারিতেই মার্কিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে। এতে নিহত হন জামাল আল-বাদাবি। তাকে ২০০০ সালে ইয়েমেনের আদেন উপকূলে ইউএসএস কয়লা খনি বিস্ফোরণে দায়ী করা হয়। ওই ঘটনায় ১৭ জন মার্কিন নাবিক নিহত হয়েছিলেন। আর৯এক্স এর মাধ্যমে দ্বিতীয় অপারেশনটি চালানো হয়েছিল বছর দুয়েক আগে সিরিয়ায়। এতে মারা যান আল কায়েদা নেতা আহমাদ হাসান আবু খাইর আল-মাসরি।
এই অস্ত্রের ‘নিনজা বম্ব’ নামে ডাকা হয়। ধাতু আর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে এক প্রাণঘাতী আক্রমণ এটাই প্রথম নয়। এর আগে কোরিয়া এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধেও ইউএস মিলিটারি তাদের তথাকথিত ‘লেজি ডগ (আলসে কুকুর)’ বোমা ব্যবহার করে। আকাশ থেকে দুই ইঞ্চি আকারের শত শত সূচারো ধাতব বস্তু পড়তো। মাটিতে পড়ার আগে যেকোনো দেহকে ক্ষতবিক্ষত করার গতি সে পেয়ে যেত।
অনেক সময়ই এমন অস্ত্রের প্রয়োগ ভয়ংকর ফলাফল বয়ে আনতে পারে। সেখানে কোনো বিস্ফোরক ধাতু থাকে না। শত্রুর মাথা-দেহে আকাশ থেএ ধরালো ছুরি-চাকু ফেলে হত্যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি কমিয়ে আনার কাজটাই করবে এই আর৯এক্স।