ছবির পেছনের গল্পটা কিন্তু অন্যরকম
কলকাতা টাইমসঃ এই একটি ছবি হাজারো চিন্তার জন্ম দেয়। অনেক সময়ই এই ছবির পেছনের গল্পটা হৃদয়বিদারক হতে পারে। সম্প্রতি এক বয়স্ক মহিলা এবং স্কুল ড্রেস পড়া মেয়ের ক্রন্দনরত একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, এই বাচ্চা মেয়েটি বৃদ্ধাশ্রমে তার দিদার সঙ্গে দেখা করে কাঁদছে। এর আগে সে জানতো না যে তার দিদা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। তার বাবা-মা মিথ্যা বলেছিলেন। তারা নাকি বলেছিলেন, দিদা এক আত্মীয়ের সঙ্গে থাকেন। অথচ গোপনে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা হয়েছিল। হঠাৎই এই দুজনের অনাকাঙ্ক্ষিত সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানেই কাঁদছেন দুজন। ছবিটি তুলেছেন কোনো ফটোগ্রাফার।
এমন এক যুগে বাস করছি আমরা, যেখানে সন্তানরা অনায়াসে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন। আসল কথা হলো, এই ভাইরাল ছবির পেছনের আসল গল্পটা ঠিক এটা নয়। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এ ছবিটি ২০০৭ সালে তুলেছিলেন কালপিত এস ভাচেচ নামে এক ফটোগ্রাফার। যদিও এখানে দিদা আর নাতনীর সাক্ষাতই ঘটেছে। কিন্তু বৃদ্ধশ্রম সংক্রান্ত যে তথ্য ছড়িয়েছে তা অন্যরকম।
আসল ঘটনা জানার জন্য এই দুজনের সঙ্গে দেখা করে বিবিসি’র সাংবাদিক। স্কুল পোশাকে যে মেয়েটি রয়েছে তার নাম ভক্তি। সে জানায়, এই ছবিটি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা এক দিদার সঙ্গে নাতনীর দেখা হওয়ার বিষয় নিয়ে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু বাস্তব হলো, তার দিদা দামইয়ান্তি সেখানে নিজের ইচ্ছাতেই গিয়ে ছিলেন। দেখা হওয়ার পর আবেগাপ্লুত হয়ে দুজনই কেঁদেছেন। সাংবাদিককে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তারা এমনটাই জানিয়েছেন।