৫ পোশাকের নিষিদ্ধ হওয়ার ইতিগল্প
কলকাতা টাইমস :
পোশাক নিয়ে বিতর্ক বিশ্বে নতুন নয়। বোরকা ও বুর্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের এই রকমই পাঁচ পোশাক নিষিদ্ধ হওয়ার গল্প তুলে ধরা হলো।
জিন্স : জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের আগে পূর্ব জার্মানির অনেক নাইট ক্লাবের সামনে পরিষ্কার লেখা থাকতো, ‘জিন্স পরে প্রবেশ নিষেধ৷’ জিন্স পরে গেলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হতো৷ শেষে অবশ্য তরুণ প্রজন্মের চাহিদার কাছে তখনকার কমিউনিস্ট সরকার নতি স্বীকার করে৷ এরিক হ্যোনেকারের নির্দেশে নাকি একসঙ্গে ১০ লাখ লেভিস জিন্স আমদানি তরুণ প্রজন্মের চাহিদা মেটানো হয়েছিল৷
‘ফেজ’ টুপি : তুরস্কে লাল রঙের টুপি ‘ফেজ’ খুব জনপ্রিয় ছিল ১৯২০-এর দশক পর্যন্ত৷ কিন্তু অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর, বিশেষ করে কামাল আতার্তুকের সময় সেই টুপি নিষিদ্ধ করা হয়৷ পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় বলেই নাকি এ ধরনের টুপি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷ নিষেধাজ্ঞা এখনো আছে। তবে তার কোনো কার্যকারিতা নেই৷
কিল্ট : স্কটল্যান্ডে ১৮ শতকের অনেকটা সময় এই ধরনের ঝালরওয়ালা ঘাগরা নিষিদ্ধ ছিল৷ ঐতিহ্যবাহী এই পোশাক স্কটরা প্রতিরোধ ও দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিধান করে- এমন ধারণা থেকেই ইংরেজরা এই পোশাক নিষিদ্ধ করেছিল৷ ১৭৪৭ সালের পর থেকে প্রায় ৩৭ বছর নিষিদ্ধ ছিল এই ঘাগড়া৷ এখন অবশ্য স্কটল্যান্ডের ঘরে ঘরে আছে এই পোশাক৷
আন্ডারওয়্যার : দুই বছর ধরে রাশিয়ায় বিদেশ থেকে আন্ডারওয়্যার আমদানি প্রায় বন্ধ৷ সরকার আইন করে শতকরা ৬ ভাগেরও কম সূতি আছে, এমন সব আন্ডারওয়্যার নিষিদ্ধ করার ফলে বিদেশি আন্ডারওয়্যার বাজার থেকে প্রায় উধাও৷ সূতি ছাড়া অন্যসব আন্ডারওয়্যার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর- এই যুক্তি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷ নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত রাশিয়ার বাজার বিদেশি আন্ডারওয়্যারে ছয়লাপ ছিল৷
হুডি : এখন আমেরিকার প্রায় সব শহরেই এই ধরনের পোশাক অর্থাৎ ‘হুডি’ কেনা যায়, পরাও যায়৷ তবে ১০ বছর আগে সে দেশের সব জায়গায় হুডি পরা যেতো না৷ আমেরিকার অনেক স্কুলে হুডি এখনো নিষিদ্ধ৷