তাজমহল থেকে লালকেল্লা এমনকি অবলীলায় বিক্রি করেছেছেন সংসদ ভবনটিকেও !
নিউজ ডেস্কঃ
নাম তার নটবরলাল। আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। বিহারের সিওয়ানের বাংরা গ্রামে জন্ম তার। পেশায় আইনজীবী। বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের সই জাল করতে ওস্তাদ নটবরলাল। অার সেই নটবরের কূটকৌশলে তিনবার বিক্রি হয়েছিল তাজমহল। শুধু তাই নয়, ৫৪৫ জন সংসদ সদস্যসহ গোটা সংসদ ভবনই বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি।
অন্তত ১০০টি প্রতারণা ও জোচ্চুরির মামলায় তাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে ৮টি রাজ্যের পুলিশ। আটক হওয়ার পর জেল ভেঙেও পালিয়েছেন নটবরলাল। লোক ঠকানোর ব্যবসায় একবার নয়, পরপর তিনবার তাজমহলকে বিক্রি করে দেন তিনি। যদিও ক্রেতার নাম কখনোই প্রকাশ্যে আসেনি। একইভাবে তার হাত দিয়ে ‘বিক্রি’ হয়েছিল লালকেল্লা। লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন কেবল কূটবুদ্ধিতে মানুষকে প্রতারণার জালে ফেলে।নটবরলালকে বিভিন্ন মামলায় ১১৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়। ন’বার ধরা পড়লেও তাকে আটকে রাখা যায়নি। বার বার পালিয়ে গেছেন তিনি।
সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে ধরা পড়েছিলেন নটবরলাল। তখন তার বয়স ৮৪ বছর। অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে থাকার অনুমতি জোগাড় করেন তিনি। জেল থেকে হুইল চেয়ারে হাসপাতাল যাওয়ার মাঝেই পালিয়ে যান নটবর। এরপর তাকে আর কেউ দেখেনি। পরিবারের দাবি মৃত্যু হয়েছে নটবরের। যদিও কথাটা বিশ্বাস করতে পারেনি পুলিশ। তবে আলোচনা থেকে হারিয়ে যায়নি মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব ওরফে নটবরলাল। প্রতারিতরা, পুলিশ, অপরাধ বিজ্ঞান সর্বত্রই এখনো উচ্চারিত হয় ঠগের রাজা নটবরের নাম।