মাস গেলে শিক্ষকদের একাউন্টে টাকার বদলে ঢোকে ছাগল, ভেড়া অথবা মুরগি
পৃথিবীর সব দেশেই কাজের বিনিময়ে দেওয়া হয় অর্থ। হোক সে যেকোনো পেশায়ই হোক না কেন। সাধারণত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে, সরকারি কোষাগার থেকে কিংবা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকেই তাদের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু যদি স্কুলে শিক্ষকদের নগদ অর্থের পরিবর্তে গরু-ছাগল বেতন হিসেবে দেয়া হওয়া হয়! তা হলে তো অবাক হতেই হয়।
কিন্তু, এমনই ঘোষণা করেছে জিম্বাবোয়ে সরকার। সেদেশের শিক্ষামন্ত্রী লাজারুস ডোকোরা বলেছেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে স্কুলের বেতন আদায়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো নমনীয় হতে হবে। শুধু গবাদিপশুই নয়, নানা ধরনের সেবাও বেতনের বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। কেউ যদি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, তাহলে তাকে দিয়ে স্কুলের প্রয়োজনে রাজমিস্ত্রির কাজ করানোই যেতে পারে।
কোনো কোনো স্কুলে ইতোমধ্যেই নগদ অর্থের বদলে গবাদিপশু গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অভিনব নির্দেশ এমন এক সময়ে নেওয়া হয় যখন জিম্বাবোয়ের ব্যাংকগুলো গবাদিপশু অর্থাৎ গরু, ছাগল, ভেড়াকে জামানত হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি, জিম্বাবোয়ের পার্লামেন্টে পাস হওয়া এক আইনে বলা হয়েছে, মোটরগাড়ি বা যন্ত্রপাতির মতো অস্থাবর সম্পত্তিকেও ব্যাংকে জামানত হিসেবে রাখা যাবে।
বর্তমানে জিম্বাবোয়েতে নগদ অর্থের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সরকার অভিযোগ করছে, এক শ্রেণির মানুষ দেশ থেকে অর্থ পাচার করছে বলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, বিনিয়োগ সঙ্কট এবং বেকারত্বই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।