গুহার ভেতর গ্রাম ! চলছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই
নিউজ ডেস্কঃ
চীনের উত্তাল সময়ে সেখানকার মিয়াও গ্রামের মানুষেরা লুকিয়ে ছিলেন একটি গুহায়। তখনও আধুনিক চীন গড়ে ওঠেনি। চীনের দক্ষিণ পশ্চিমের গুইঝাউয়ে তখন সশস্ত্র দুস্কৃতিদের তাণ্ডব চলছে। সেই সময়ে একমাত্র লুকিয়ে থাকার জায়গা হিসেবে মিয়াও অধিবাসীরা বেছে নেন এই গুহাকেই।
তার পর থেকে এখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। এরপর চীনে ক্ষমতায় আসে কমিউনিস্ট পার্টি। ধীরে ধীরে এই জায়গায় দারিদ্র এবং বিচ্ছিন্নতা গ্রাস করতে থাকে, তবু তাঁরা থেকে যান এখানেই। চীন উন্নত হয় অনেক। কিন্তু স্থান বদল করেননি এই এলাকার বাসিন্দারা। শহর থেকে অনেক দূরে এভাবেই থেকে যান সকলে। এখন গোটা দেশে এই এলাকাটিই একমাত্র দরিদ্র এলাকা বলে পরিচিত। পাহাড় পেরিয়ে খাড়া উপত্যকার পথ অতিক্রম করে তবেই রাস্তার দেখা মেলে। যে রাস্তা নিয়ে যায় শহরের দিকে। বিগত কুড়ি বছর ধরে এই ভাবেই জীবন কাটাচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। এখানে পর্যটকদের ভিড়ও সেভাবে হয়না। আগে যাও বা পর্যটকরা বেড়াতে আসত সে সংখ্যা দিন দিন তলানিতে ঠেকছে।
চীনের সংবাদ মাধ্যমগুলি প্রচারের ফলে এখন আবার পর্যটকরা আসছেন শেষ হতে বসা সেই ইতিহাসকে একটু ঘুরে ফিরে দেখতে। সম্প্রতি এখানে একটি কটেজ ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয়েছে। গুহার বাসিন্দারা কিছু রোজগার করতে পারেন এখন থেকে। তাঁদের বাড়ির কয়েকটা ঘর ভাড়া দিয়ে, হোম স্টে -র ব্যবস্থা করেন তারা। চুনা পাথরের এই গুহা এতটাই বড় যে তার মধ্যে আমেরিকার চারটি ফুটবল মাঠ ধরে যাবে। এভাবেই বছরের পর বছর রয়েছে ভূগর্ভস্থ গ্রাম গুলি। টিকিয়ে রেখেছে তাদের অস্তিত্ব।