November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

WHO এর ক্লিনচিট চীনকে, উহানের গবেষণাগার থেকে করোনা ছড়ায়নি 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে চীনের উহানে অবস্থানকারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দল গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান পিটার বেন এমবারেক বলেন, উহানের কোনো গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে এটা ‘খুবই অসম্ভব’।

ভাইরাসের উৎস চিহ্নিত করতে আরও অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি। আরেক বিশেষজ্ঞ জানান, অনুসন্ধানের নজর এখন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দিকে যেতে পারে। ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ দলটি এখন তাদের মিশনের শেষের দিকে রয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে ড. এমবারেক বলেন, অনুসন্ধানে নতুন তথ্য বের হয়েছে কিন্তু প্রাদুর্ভাবের চিত্রে কোনো নাটকীয় পরিবর্তন আসেনি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের উৎস চিহ্নিত করতে অনুসন্ধানের নজর ছিল বাদুড়ের প্রাকৃতিক আবাসস্থলের দিকে। কিন্তু এটা (উৎস) উহানেই হয়েছে এমন সম্ভাবনা কম।

এমবারেক বলেন, প্রাণির সূত্র বের করার কাজ এখনো চলছে কিন্তু একটি মধ্যবর্তী প্রজাতি থেকে তা মানুষের শরীরে এসেছে এমন সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, ডিসেম্বরে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই উহানে ভাইরাস ছড়াচ্ছিল এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি। চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ লিয়াং ওয়ানিয়ান বলেন, উহানে শনাক্ত হওয়ার আগেই হয়তো করোনাভাইরাস অন্য অঞ্চলে ছিল।

‘কোল্ড চেইন’ সংক্রমণ বা হিমায়িত খাদ্য পরিবহণ ও বিক্রির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা তা জানতে আরও তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ দলটি।

বিশেষজ্ঞ দলের আরেক সদস্য পিটার ড্যাসজ্যাক বলেন, ভাইরাসের উৎস খুঁজতে অনুসন্ধান এখন পূর্ব এশিয়ার দিকে স্থানান্তরিত হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা চীনে অনেক কাজ করেছি এবং আপনি যদি তা চিহ্নিত করেন তবে তা সীমান্তের দিকে ইঙ্গিত করতে শুরু করে। এবং আমরা জানি যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পুরো অঞ্চলের মধ্যে সীমান্তের অপর দিকটিতে খুব কম নজরদারি রয়েছে।’

‘চীন অনেক বড় একটি জায়গা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াও অনেক বড়। হুয়ানানের সামুদ্রিক খাদ্যের সাপ্লাই চেইন অনেক বড় ছিল, এগুলো অন্য দেশ থেকে আসতো, এগুলো চীনের অনেক অংশ থেকেও আসতো। তাই এর সূত্র অনুসরণ করতে কিছু কাজ করতে হবে,’ বলেন পিটার।

এখন মূল নজর এই সাপ্লাই চেইনগুলোর ওপরেই থাকবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বেইজিং এর সঙ্গে বেশ কয়েক মাসের আলোচনার পর গত জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মিশন শুরু হয়। মিশনে বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শন চীনা কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিল।

Related Posts

Leave a Reply