প্রকাশ্য বাজারে দাঁড়িয়ে মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া হয় এখানে !
কলকাতা টাইমসঃ
একুশ শতকের ভারতেও বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে এখনও মেয়েদের প্রকাশ্যে বেচা কেনা করা হয়। আইন-পুলিশ-সমাজ-রাষ্ট্রের সামনেই চলছে এই সব অপকর্ম। এমনকী এমন ভয়াবহ নির্যাতনের জন্য নেই কোনো অপরাধবোধ। মেয়েরাও যেন এই ব্যাপারটিকে স্বাভাবিকই মনে করে! তেমনই এক জায়গা মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র ডিভিশনের শিবপুরি জেলা। এখানে টাকার বিনিময়ে মেয়েদের কয়েক মাস বা বছরের জন্যে ভাড়া নেওয়া যায়। এই নিন্দনীয় কাজটিকে ‘ধাদীচা প্রথা’ বলা হয়। ভয়ানক ব্যাপার হলো, প্রকাশ্য দিবালোকে খোলা বাজারে তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দরদাম চলতে থাকে!
রীতিমতো নিত্যপ্রয়য়োজনীও সামগ্রীর মতোই গ্রামের বাজারে নিলামে তোলা হয় মেয়েদের। গ্রামের যে সব ধনী ব্যক্তিদের স্ত্রী অথবা প্রেমিকা নেই, তারা সাময়িক সময়ের জন্যে মেয়েদের ভাড়া নিতে পারেন মাত্র কয়েক হাজার টাকায়। এখানেই শেষ নয়, পুরো বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য ও তথাকথিত আইনি করার জন্যে ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তিও সই করা হয়। চুক্তি শেষ হলে তা আবার রিনিউ করতে পারেন ক্রেতারা।
প্রথার প্রচলন রয়েছে। ২০১৭ সালে এমনই এক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। ইন্দোরের এক ব্যক্তি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দেন ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে। অসংখ্যবার ধর্ষণের পর তাকে আরও একবার বিক্রি করে দেওয়া হয় শিবপুরী জেলার এক লোকের হাতে। কোনোরকমে সেখানে থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সেই নির্যাতিতা। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় মেয়ের স্বামীকে।
ভারতের এসব এলাকায় এখনও আধুনিক জীবনের ছোঁয়া লাগেনি। এসব জায়গায় কন্যাভ্রুণ হত্যা হয় ব্যাপকহারে। মেয়েদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় একই পরিবারের একাধিক ভাই একজন মেয়েকেই বিয়ে করেন! অন্য জেলা থেকে অপহরণ করে এনেও এসব জায়গায় মেয়েদের বিক্রি করা হয়। এসব মেয়ের স্বাধীনতা তো দূরে থাক, শারিরীক-মানসিক আর যৌন নির্যাতন ভোগ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। পুলিশও এসব ব্যাপারে খুব একটা নাক গলাতে চায় না; তাই প্রকাশ্যেই হয়ে চলছে এমন জঘন্য অপরাধ। যার শেষ কোথায়, কেউ জানে না!