ভাবছেন ২ ডিগ্রি এমনকি ? পৃথিবী শেষ করতে যথেষ্ঠ
কলকাতা টাইমস :
আর ভালো নেই পৃথিবী। ক্রমশ গরম হচ্ছে সে। ১৮৮০ সালের পর উষ্ণতার বিচারে দ্বিতীয় সবচেয়ে গরম বছর ছিল ২০১৯ সাল। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার পর এমনটাই জানাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার গর্দার্দ ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ সারা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে এই গবেষণা চালাচ্ছে।
গত এক শতকে তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি বেড়েছে। এখন সেটা এক লাফে প্রতি বছর ১ ডিগ্রির কাছাকাছি বাড়ছে। এল নিনো, লা নিনা উষ্ণ ও ঠাণ্ডা ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগর সারা পৃথিবীর বায়ু প্রবাহ ও আবহাওয়ার প্যাটার্ন বুঝিয়ে দিচ্ছে বিশ্বের উষ্ণতা কতটা বদলে যাচ্ছে। আর্কটিক এলাকায় উষ্ণতাও বাড়ছে দ্রুত। পৃথিবীর ৬৩০০ আবহাওয়া দপ্তরের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে চালানো সমীক্ষার পরই এই তথ্য জানা গেছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শুধুমাত্র ২০১৭ সালের পরে রয়েছে এই ২০১৯ সাল। এই বছরে সারা পৃথিবীতে ০.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৫১ সালে থেকে ১৯৮০ সাল অবধি সবচেয়ে কম ছিল তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার। ২০১৯ সালে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৯৫১ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যবর্তী সময়কার গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১.৯১ ডিগ্রি বেশি ছিল।
আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফ্যারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ২০১৯ সালে শেষ হওয়া এক পৃথক সমীক্ষাতেও দেখা গেছে ২০১৯ তৃতীয় উষ্ণতম বছর। এই সামান্য ফারাকটুকু হয়েছে দুজনের রিসার্চ পদ্ধতির সামাণ্য ফারাকে কারণে। দুজনের রেকর্ডই দেখাচ্ছে ২০১০ থেকে পাঁচটা বছর সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে।
নাসা সম্প্রতি বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির যে চিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে প্রতি বছরের উষ্ণতা বৃদ্ধি কিম্বা হ্রাসের বিষয়টিই দেখানো হয়েছে। নাসা-র জিআইএসএস দল এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবহাওয়া স্টেশনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে তাপমাত্রা মাপা হয়। ৬,৩০০ স্টেশন থেকে গৃহীত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই বিশ্লেষণটি করা হয়।
নাসার পক্ষ থেকে গ্যাভিন স্কিমিড জানিয়েছেন, ‘পৃথিবী জুড়ে গত ৪০ বছর ধরেই গড়ে উষ্ণতা বেড়ে চলেছে।’
১৮৮০ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছে তাপমাত্রার অ্যানামলি তাও দেখিয়েছে নাসার চিত্র। এই ছবির প্রতিটা গ্রাফ উষ্ণতার বৃদ্ধির ধাপটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। গত শতাব্দীর থেকে এই শতাব্দীতে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি বেড়েছে।
উন্নয়নের জেরে নিঃসরণ হওয়া বিভিন্ন গ্যাস ও কার্বন ডাই অক্সাইডের ক্রমবর্ধমান বাড়তি ভাব ভয় দেখাচ্ছে সকলকেই।