প্রেমিক যুগলকে বিচারকের আজব সাজায় হতবাক দুনিয়া !
চারপাশের অবস্থার দিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল ছিল না প্রেমিকযুগলের। প্রেমে এতটাই মত্ত ছিলেন সেই যুগল যে আশেপাশের পরিস্থিতির দিকে বিন্দুমাত্র নজর দিলেন না। পার্কের মাঝে দু’জনই যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন। আর এই অপরাধের জন্যই অদ্ভুত শাস্তি হল যুগলের। অদ্ভুত এই শাস্তি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে ওহাইওয়। যুগলকে শাস্তি দিয়ে নজির গড়েছেন সেখানকার এক আদালতের বিচারপতি মাইকেল কিকোনেত্তি।
জানা গিয়েছে, নিজের আজব বিচারের জন্য ইতিমধ্যেই সকলের নজর কেড়েছেন বিচারপতি মাইকেল। দোষীরা অপরাধ করলে এবং সেই অপরাধ প্রমাণিত হলে সাধারণত তাঁদের দুটি রাস্তা দেওয়া হয়। এক নম্বর রাস্তাটি হল, আইনমাফিক জেলে গিয়ে সাজা কাটতে হবে। দ্বিতীয় রাস্তাটি হল বিচারক মাইকেলের দেওয়া আজব শাস্তি মাথা পেতে নিতে হবে।
জানেন বিচারক মাইকেল কী অদ্ভুত শাস্তি দিয়েছেন ওই প্রেমিক যুগলকে? জানা গিয়েছে, যে পার্কে তাঁরা যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন, সেই পার্কটিকেই পরিষ্কার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই যুগলকে। পার্কের মধ্যে থাকা কন্ডোম পর্যন্ত পরিষ্কার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, শাস্তি হিসাবে তাঁদের সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। বিজ্ঞাপন মারফত ওইদিন পার্কে উপস্থিত থাকা প্রত্যেকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিচারক মাইকেল কিকোনেত্তি গত ১৯৯৪ সাল থেকে এমনই আজব শাস্তি দিয়ে আসেন দোষীদের। বেশ কিছুদিন আগে বাড়িতে ৩৫টি বিড়াল পুষে রাখার জন্য এক মহিলাকে একরাতের জন্য বনবাসের শাস্তি দিয়েছিলেন তিনি। কোনও খাবার, জল এবং আলো ছাড়াই তাঁকে একরাতের জন্য বনে থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় দোষীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে বনে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে।