দূর্বিষহ ছোটবেলা ছাঁপিয়ে এখন দুনিয়া কাপাঁচ্ছেন এই তারকা
লাতিন আমেরিকার উত্তরের টুইন আইল্যান্ড, ‘ত্রিনিদাদ ও টোবাকো’-র ছোট শহর সেন্ট জেমস। ১৯৮২ সালের ৮ ডিসেম্বর সেখানেই জন্মেছিলেন নিক্কি। একটি অনুষ্ঠানে নিক্কি নিজেই একবার বলেছিলেন, আমেরিকায় আসার পর ঈশ্বরকে শুধুই বলতেন, এই দেশ যেন তাঁকে অনেক অনেক ধনী হতে সাহায্য করে। যাতে ‘মা’-এর ভাল করে দেখাশোনা করতে পারেন তিনি। প্রার্থনা পূরণ হতে খুব বেশি সময় লাগেনি নিক্কির। পাঁচ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কে আসেন নিক্কি, বাবা-মা’র সঙ্গে। ম্যানহাটনের একটি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কিছুদিন পারফর্ম করেছিলেন অফ-ব্রডওয়েতে। ব্রংস-এর একটি রেস্তোরাঁতেও কাজ করেছেন নিক্কি। মোট পনেরোটি চাকরি পরিবর্তন করেন নিক্কি। মুখরা স্বভাবের জন্যই নাকি বার বার চাকরি যেত তাঁর।
গানের জগতে আসেন ২০০৪-এ কিন্ত টার্নিং পয়েন্টটি ঘটে তার তিন বছর পর। ২০০৭-এ রিলিজ হয় ‘প্লেটাইম ইজ ওভার’ ও ২০০৮-এ ‘সাকা ফ্রি’। ওই বছরই জিতে নেন আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। তবে নিক্কির কেরিয়ারে ব্রেক থ্রু ঘটে ২০১০-এ, অ্যালবাম ‘পিঙ্ক ফ্রাইডে’ থেকে। ২০১২-তে আবার হিট ‘পিঙ্ক ফ্রাইডে: রোমান রিলোডেড’। ২০১৩-র ছবি ‘দ্য আদার উওম্যান’-এ প্রথমবার অভিনেত্রী হিসেবে দেখা যায় নিক্কিকে।
৬টি আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, ১০টি বেট অ্যাওয়ার্ডস, ৩টি এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, ৩টি এমটিভি ইওরোপ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এবং ৪টি বিলবোর্ড মিউজক অ্যাওয়ার্ডস রয়েছে নিক্কির ঝুলিতে।