একের পর এক পান পাত্র চুরি করে বেড়াচ্ছিলেন বিশ্বখ্যাত গায়িকা রিহান্না !
কলকাতা টাইমসঃ
রুবিন রিহান্না ফেন্টি। সংগীত জগতে তিনি রিহান্না নামেই খ্যাত। একই সঙ্গে একজন সফল অভিনেত্রী, গীতিকার ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এই বার্বাডিয়ান। কিন্তু এহেনো অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গ্লাস চুরি করেছেন! এমন খবরেই স্বরগরম সিনেপাড়া। এক টেলিভিশন শো-তে এসে বেজায় লজ্জায় পড়লেন বিশ্বখ্যাত গায়িকা রিহানা। ‘দ্য গ্রাহাম নর্টন শো’-এর সঞ্চালক সকলের সামনে এই প্রসঙ্গ তুলে বিশ্ববিখ্যাত এই গায়িকাকে রীতিমতো অপ্রস্তুত করে দেন।
সঞ্চালক গ্রাহাম নর্টন জানান, রিহানা নাকি বিভিন্ন পার্টি আর ক্লাবে গিয়ে হাতে করে দিব্যি পানপাত্র নিয়ে বেরিয়ে আসেন। ক্যামেরায় বারবার ধরাও পড়েছে তাঁর এই হাত সাফাইয়ের ছবি। নর্টন গায়িকার সেই গ্লাস চুরির একের পর এক ছবি দেখিয়ে তাঁকে অপ্রস্তুত করে দেন। যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসাবে হাসতে হাসতে রিহানা বলেন, অন্তত একবার হোটেল থেকে নেওয়া গ্লাস ফেরত দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর এই কাতর স্বীকারোক্তিতেও থেমে থাকেননি সঞ্চালক গ্রাহাম। রিহানার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অন্যদের রিহানা সম্পর্কে সতর্কও করে দেন গ্রাহাম। তাঁর কথায়, রিহানার মধ্যে অপরাধের প্রবণতা রয়েছে।
মেয়েদের নিয়ে তৈরি একটি ছবিতে কমপিউটার হ্যাকারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রিহানা। কিন্তু তাঁর নিজের চুরি করার বাস্তব দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত ঘাবড়ে যান এই বিশ্ববিখ্যাত গায়িকা। তার চেয়েও বেশি অস্বস্তিতে পড়েন, তাঁর মা এই দৃশ্যগুলি দেখবেন ভেবে। তাই নিজের অস্বস্তি আড়াল করার চেষ্টা করলেও অকপটে প্রশ্ন করে বসেন, ‘আমার মা-ও এই দৃশ্যগুলি দেখতে পাবেন?’ তবে সঞ্চালক গ্রাহাম নর্টন রিহানাকে চোর বললেও চিকিৎসা বিজ্ঞান অবশ্য এর পেছনে কোনও অপরাধ প্রবণতা খুঁজে পায় না। ডাক্তারি মতে, এটা নেহাতই একটা বাতিক। যা মানসিক অসুখের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এতে অধিকাংশ সময়ই আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের অবচেতনে কোনও জিনিস হাতে করে নিয়ে আসেন।
অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ কোনও দ্রব্যের প্রতি আসক্তি থাকে। অধিকাংশ সময়ই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অর্থনৈতিক অনটনের কোনও সম্পর্ক থাকে না। তবে ডাক্তারি পরিভাষায় ক্লেপ্টোম্যানিয়া বললেও সাধারণের চোখে চুরি বিদ্যা। তাই এই অসুখের কারণেই বেজায় লজ্জায় পড়তে হল বিশ্ববিখ্যাত গায়িকা রিহানাকে। কিন্তু ডাক্তাদের পরামর্শ অপ্রস্তুত পরিবেশের মধ্যে না ফেলে, এসব রোগীদের একমাত্র চিকিৎসা হলো মনরোগ বিশেজ্ঞদের কাছে নিয়ে যাওয়া ভাল।