ফ্রিজে আছে খাবারের এক্সপিয়ারি ডেট , জানেন কি ?
কলকাতা টাইমস :
ফ্রিজে খাবার আমাদের সকলের বাড়িতেই থাকে। কখনও রান্না করা খাবার, কখনও বা কাঁচা শাকসবজি কিংবা আমিষও রাখা থাকে ফ্রিজে। কিন্তু এই ধরনের খাবার ঠিক কতদিন নিশ্চিন্তে ফ্রিজে রাখা যায়? কোনও কোনও প্যাকেটজাত দ্রব্যের গায়ে একটি ‘এক্সাপায়ারি ডেট’ কিংবা ‘বেস্ট বিফোর’ বলে একটা তারিখ লেখা থাকে ঠিকই।
জানানো হয়, প্যাকেট খোলার আগে বা পরে কতদিন তাজা থাকবে সেই খাবার। কিন্তু বাজার থেকে খোলা অবস্থায় কেনা সবজি কিংবা মাছ, মাংস, ডিমের গায়ে সেরকম কোনও সতর্কবার্তা থাকে না। তাহলে কীভাবে বোঝা যাবে যে, কোন খাবার কতদিন ফ্রিজে রাখা উচিত? সৌভাগ্যবশত এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে একটি গবেষণা সংস্থা ।
এই গবেষণা সংস্থা তরফে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় দেখানো হয়েছে, সাধারণভাবে গৃহস্থ বাড়িতে ব্যবহৃত ও ফ্রিজে রক্ষিত বিভিন্ন খাবার কতদিন ফ্রিজের ভিতরে রাখা যেতে পারে। তালিকাটি প্রস্তুতিতে আমেরিকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়া হয়েছে, যেমন: ইউএসডিএ, এফডিএ কিংবা ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অ্যান্ড ফুড ম্যানুফ্যাকচারার্স।
এই সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যাবলীর ভিত্তিতে তৈরি সেই তালিকায় রয়েছে এমন বেশ কিছু খাদ্যও যা বাঙালি বাড়িতেও নিয়মিত ফ্রিজে রাখা হয়ে থাকে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত খাবার কতদিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা নিরাপদ—:
১. কাঁচা ডিম: ৩-৫ সপ্তাহ
২. কাঁচা মুরগির মাংস: ১-২ দিন
৩. কাঁচা পাঁঠার মাংস: ৩-৫ দিন
৪. প্যাকেটজাত দুধ: প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত ‘সেল বাই’ বলে যে তারিখ লেখা রয়েছে, তার পরে বড়জোর ৭ দিন।
৫. মাখন: প্যাকেট খোলা হয়ে যাওয়ার পরে ৩-৪ মাস।
৬. সসের শিশি: ৬ মাস।
৭. প্যাকেটবন্দি চকোলেট: ১ বছর।
তালিকা দেওয়ার পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে যে, এই সময়সীমা তখনই প্রযোজ্য, যখন একেবারে টাটকা তাজা অবস্থায় এসব জিনিস বাজার থেকে কেনা হচ্ছে। আর এই সময়সীমা-উত্তীর্ণ খাবারে পচন ধরতে শুরু করে। ফলে তারপরে এই সমস্ত খাবার না খাওয়াই ভাল।