ভারতের এই ৫ শহরে নাকি পরকীয়ার সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি!
কলকাতা টাইমস :
দ্রুতগতি সম্পন্ন আধুনিক জীবনে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের হার প্রতিদিন বাড়ছে। পাশ্চাত্য জগতের অন্য অনেক কিছুর মতো এই ধারাও আজ ভারতকে প্রভাবিত করছে। তাহলে দেখে নেয়া যাক, ভারতের কোন পাঁচটি শহর পরকীয়ায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে।
১) চণ্ডীগড় : পরকীয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে এই শহরের নবীনরা। ছেলেদের মধ্যে ৪৭% আর মেয়েদের ৪৩% প্রতি মুহূর্তে পরস্পরকে ঠকিয়ে চলেছেন। তবে ১৩% স্ত্রী-পুরুষ এখনো পুরনো সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে ৮% আবার সঙ্গী বা সঙ্গীনি সম্পর্ক বহির্ভূত ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছেন বলে তাদের উচিত শিক্ষা দিতেই নাকি নিজেরাও পরকীয়ায় মজতে বাধ্য হয়েছেন। দেখা গিয়েছে, সম্পর্কের মেয়াদ তিন বছরের বেশি গড়ালেই তার আকর্ষণ নষ্ট হচ্ছে। এতেই বাড়ছে হৃদয় পরিবর্তনের ঝোঁক।
২) দিল্লি : পরকীয়ায় পিছিয়ে নেই রাজধানীও। দিল্লির ৪৫% তরুণ এবং ৪৪% তরুণী তাদের পার্টনারদের ঠকাচ্ছেন। পরম্পরার তোয়াক্কা না করে তাদের সাফ কথা, এক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেই অগ্রাধিকার পাবে। আশ্চর্যের ব্যাপার, ২১% নারী-পুরুষই সচেতন যে সঙ্গীরা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এমন ঘটনার কারণে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে। তবে দেখা গিয়েছে, ২৫-৩৩ বছর বয়সীদের মধ্যে তুলনায় সম্পর্ক নিয়ে ছিনিমিনি খেলার হার কম।
৪) বেঙ্গালুরু : সম্পর্ক নিয়ে প্রতারণার তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দেশের সিলিকন সিটি। উঠতি প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে বাড়ছে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের প্রবণতা। ৩৪% তরুণ এবং ২৯% তরুণী এই খেলায় মজেছেন বলে জানিয়েছেন। অ্যাশলে ম্যাডিসন-এর মতো পরকীয়া ওয়েবসাইটে দলে দলে নাম লেখাচ্ছেন শহরের নবীনরা। বেশির ভাগ সম্পর্কই তৈরি হচ্ছে অনলাইন সূত্রে। দেখা যাচ্ছে, বিশ বছরের মাঝামাঝি থেকে তিরিশের শেষ দিক পর্যন্ত সম্পর্ক বহির্ভূত ঘনিষ্ঠতায় লিপ্ত হয়েছেন।
৫) পুণে : তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে পুণে। এখানে ২৬% তরুণ এবং ২৪% তরুণী সঙ্গীকে ঠকানোর কথা স্বীকার করেছেন। তাদের যুক্তি, পুরনো প্রেমিক/প্রেমিকার চেয়ে অন্য কারো থেকে গভীরতর আহ্বান পেলে তা গ্রাহ্য করায় অন্যায় নেই। অনেকের মতে, পেশাগত জীবনের চাপ এবং পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলেই প্রচলিত মূল্যবোধে পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে।
দেশের এই পাঁচ শহরের পরে পরকীয়া তালিকায় কাদের ঠাঁই হবে? মুম্বাই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, ইন্দোর নাকি পটনা? আসলে ক্যারিয়ার গড়ার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হওয়ার ফলে পরস্পরকে সময় দিতে পারছেন না বেশির ভাগ যুগল। তার থেকে তৈরী হচ্ছে হীনমন্যতা এবং বিশ্বাসের অভাব। তার কারণেই বাড়ছে সম্পর্কে প্রতারণার হার।