৩০ বছরেও পচে না এই ৯টি খাবার
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
পৃথিবীতে কি এমন খাদ্যও রয়েছে যেগুলো পচে না? শিরোনাম দেখে আপনাদের নিশ্চয় এমন কথা মনে হচ্ছে। তাই বলছি আসলে কোনদিনও পচে না বিষয়টি এমন নয়, এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো অনন্ত ত্রিশ বছর পর্যন্ত সজিব থাকে। না পচা খাবারগুলোর মধ্যে থেকে নিচে ৯টি খাবারের উদাহরণ দেয়া হলো যেগুলো পচে না।
১) চাল: বৈজ্ঞানিকরা পরখ করে দেখেছেন, সাদা চাল প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে সেটা এয়ার টাইট কৌটোয় ভরে রাখতে হবে। ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার নীচে যদি রাখা হয় তা হলে আরও ভালো। সাদা-র জায়গায় খয়েরি চাল হলে তা ৬ মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে।
২) মধু: নষ্ট হয় না বললেই চলে। তবে কৃতিত্বটা পুরোপুরি দাবি করতে পারে মৌমাছিরা। ফুলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মধু এমন অমর-অবিনশ্বর করে রাখার পেছনে ওরাই দায়ী। এখনও পর্যন্ত সব থেকে পুরনো মধু অবিকৃত অবস্থায় মিলেছে তা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো।
৩) লবন: এ ছাড়া খাবারই পানশে। তবে পুরোটাই প্রকৃতির দান। নিজে তো নষ্ট হয়ই না, উল্টে অনেক জিনিসপত্র অবিকৃত রাখতে কয়েক হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে নুন। তবে যখনই এর সঙ্গে আয়োডিন মেশানো হয়, তখনই এর আয়ু কমে ৫ বছর হয়ে যায়।
৪) সয়া সস: না খোলা বোতল প্রায় নষ্ট হয় না বললেই চলে। ফ্রিজে রাখলে আরও ভালো। তবে আসল না নকল সে দায় আপনাকেই নিতে হবে।
৫) চিনি: নুনের মতো চিনিও দীর্ঘ দিন অবিকৃত থাকতে পারে। গুঁড়ো করে এয়ার টাইট বোতলে ভরে রাখলে সেটা আরও বেশি দিন অবিকৃত থাকে। তবে একবার নরম হয়ে গেলে সেটা বাঁচিয়ে রাখা খুব মুশকিল।
৬) শুকিয়ে রাখা বিনস: চালের সঙ্গে বিনস নিয়েও গবেষণা করার সময় বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা করার সময় দেখেছেন প্রায় ৩০ বছর পরেও শুকিয়ে রাখা বিনসের গুণগত মান প্রায় একই রকম রয়েছে।
৭) খাঁটি ম্যাপেল সিরাপ: মধুর মতো এও অবিনশ্বর। অনেক সময় বাতাসের জলীয় বাস্প ঢুকে সামান্য পরিবর্তন হয় ঠিকই। তবে সিরাপ খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে উপরিভাগের ফ্যানা ফেলে দিয়ে ঠান্ডা করে ফের তা বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখলে দীর্ঘ দিন অবিকৃত থাকতে পারে।
৮) গুঁড়ো দুধ: এমনি দুধ রাখা না গেলও গুঁড়ো দুধ কৌটোর মধ্যে ভরে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।
৯) পেমিক্যান: নেটিভ আমেরিকান উপজাতিদের রেসিপি। একেবারে যাকে বলে মোক্ষম। এল্ক বা মোষে মাংস খুব পাতলা করে কেটে এক রকমের পাউডার এবং বিভিন্ন বেরির রসে ভিজিয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়। কাঁচা, সেঁকে বা ভেজে খাওয়া যেতে পারে পেমিক্যান। দীর্ঘ দিন বাদে ব্যবহার করলেও এর খাদ্যগুণ নষ্ট হয় না।