কলকাতা টাইমস :
যেকোনো সময় রাঁধুনি হয়ে উঠতে পারে শিম্পাঞ্জিরা। হার্ভার্ড স্টাডির প্রকাশিত পত্রিকা রয়্যাল সোসাইটি বি-তে এমনই দাবি করলেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রত্যেক শিম্পাঞ্জির মধ্যে রান্না করার দক্ষতা সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বলেই রান্নাও করতে পারে না। তাছাড়া সামাজিক দক্ষতার ঘাটতিও তাদের রাঁধুনি হওয়ার পথে অন্তরায় বলে অভিমত তাদের।
জার্নালের লেখক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ববিদ ড. ফেলিক্স ওয়ারনেকেন বলছেন, রান্না করাটা একটা সামাজিক ব্যাপার। অন্য অনেকের সঙ্গে থাকতে থাকতে রান্না করার গুণ রপ্ত করে মানুষ। অনেক শিম্পাঞ্জি একসঙ্গে থাকাকালীন তাদের সামনে খাবার আর রান্নার সরঞ্জাম রাখা হলে, তারা সেগুরো ব্যবহার করে রান্নার চেষ্টা করতে পারে।
শিম্পাঞ্জিরা কাঁচা খাবার পছন্দ করে না রান্না করা খাবার তা জানতে বেশ কয়েকটি গবেষণা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওয়ারেনকেন। গবেষণার পর দেখা গেছে, ৯০% ক্ষেত্রে রান্না করা আলু খেয়েছে শিম্পাঞ্জিরা। এমনকী ৬০% ক্ষেত্রে রান্না হওয়া পর্যন্ত তারা রীতিমতো অপেক্ষাও করেছে। কিন্তু খিদের চোটে কাঁচা খাবার খেয়ে নেয়নি তারা।