সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান কারিগর হতে চলেছে এই দেশগুলি
কলকাতা টাইমসঃ
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগাম ভবিষ্যৎবাণী করে গিয়েছিলেন ক্লেয়ারভয়ান্ট হোরাসিও ভিলেগাস নামক এক ব্যক্তি। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার কথাও তিনি আগাম বলেছিলেন। দাবি ছিল ট্রাম্পের হাতেই সূচনা হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তবে কি মাইল যেতে চলেছে সেই ভবিষ্যৎবাণী?
ভিলেগাসের দাবি ছিল, লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়বে রাশিয়া, চীন এবং উত্তর কোরিয়া সহ বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো। প্রচুর মানুষের মৃত্যু এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কোথাও জানিয়ে গেছেন এই ভবিষ্যৎ বক্তা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য মুখিয়ে থাকা দেশগুলির পরিস্থিতি…..
* ভারত এবং চীন: গলওয়ান উপত্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বর্তমানে দু’দেশই সীমান্তে তাদের রণসম্ভার সাজাতে ব্যস্ত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভেস্তে যাচ্ছে আলোচনা। এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে শেষপর্যন্ত যুদ্ধ বাধলে তা বিশ্বজুড়ে এক ভয়াবহ আকার নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের শক্তিবৃদ্ধিতে প্রধান বাধা ভারত। আর এই কারণেই ধীরে ধীরে ভারতীয় সীমান্তে রণহুঙ্কার দিচ্ছে চীন। চীন সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করে চলেছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গেও।
* ভারত-পাকিস্তান: স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অশান্তি চরমে। যা আজ প্রবাহমান।অন্যদিকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় সেনা কনভয়ের ওপর উরিতে জঙ্গি হামলা এবং পাক অধিকৃত বালাকোটে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দি দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে তরান্নিত করেছে।
* ইরান-ইসরায়েল: দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সরাসরি সামরিক মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। যার ফলে এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সবসময়েই চরমে বিরাজ করছে।
* ইরান-আমেরিকা: পরমাণু নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। জোট দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে। এরই মধ্যে পশ্চিম এশিয়া থেকে ‘আমেরিকার অস্তিত্ব মুছে’ ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এদিকে প্রবল অর্থনৈতিক অবরোধের মাধ্যমে ইরানকে কোনঠাসা করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
* আমেরিকা-উত্তর কোরিয়া: উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত শক্তি প্রদর্শন মোটেও ভালো চোখে দেখছিলোনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সেদেশের একনায়ক কিম জং উনের আমেরিকাকে উপেক্ষা দুদেশের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনার আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করে। এছাড়াও প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়ার উপরচোটপাট কখনোই সহ্য করেনি আমেরিকা। প্রসঙ্গত, বন্ধু রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
* চীন-আমেরিকা: করোনা ভাইরাস চীনের তৈরী এমনটাই দাবি করে আসছে আমেরিকা। এছাড়া বেশ কয়েকমাস ধরে চলা দুই দেশের শুল্কযুদ্ধ উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার বড়ো কারণ।