November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

চটজলদি পেট খারাপ সারাতে দারুন কাজে আসে এই ঘরোয়া উপাদানগুলি!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 

ঠাৎ করে পেট খারাপ তো মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে। কি তাই তো! তবে কারনটা ফুড পয়েজেনিং হোক, কী সংক্রমণ, অ্যালার্জি, স্ট্রেস অথবা মদ্যপান, মধ্যা কথা মোশানকে আটকাতে না পারলে যে বেজায় বিপদ, তা কি আর বলে দিতে হবে!
প্রসঙ্গত, যে যে ঘরোয়া উপাদানগুলি এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। সেগুলি হল…
১. লেবুর জল: একেবারে ঠিক শুনেছেন! পেটের রোগের চিকিৎসায় বাস্তবিকই লেবুর জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে! আসলে লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ পেটের অন্দরে প্রদাহ কমায়, সেই সঙ্গে এই ফলটিতে থাকা নানাবিধ খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

২. ডাবের জল: পেট খারাপের সময় দেহের অন্দরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য দূর করতে এবং জলের চাহিদা মেটাতে ডাবের জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দূর করে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, পেট খারাপের মোকাবিলা করতে দিনে কম করে ২ গ্লাস ডাবের জল খেতেই হবে। তবেই কিন্তু সুফল মিলবে! 

৩. আদা: পেট খারাপ কমাতে আদার কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এমন ধরনের রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে ১ কাপ বাটার মিল্কে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। এই পানীয়টি দিনে ৩-৪ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও এই ঘরোয় পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাবেন না। 

৪. দারচিনি: এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চোখের নিমেষে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে দিনে ৪ বার দারচিনি পাউডার দিয়ে তৈরি চা খেলেই উপকার মিলতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, ১ কাপ গরম জলে ১ চামচ দারচিনি পাইডার মিশিয়ে 

৫ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে চা-টা পান করুন। দেখবেন পেটের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।

৫. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: পেট খারাপের প্রকোপ কমাতে এই উপাদানটি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে থাকা প্যাকটিন নামে একটি উপাদান পেটের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি পেটকে একেবারে চাঙ্গা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল সরাসরি তো অ্যাপেল সিডার ভিনাগার খাওয়া যাবে না, তাহলে? কোনও চিন্তা নেই! ১ গ্লাস জলে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে ১ গ্লাস করে এই পানীয় খেলে দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, ইচ্ছা হলে এই মিশ্রনে এঅল্প করে মধুও মিসিয়ে দিতে পারেন। তাতে স্বাদ ভাল হয়ে যাবে। 

৬. মেথি বীজ: ১ চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চামচ মেথি বীজ মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে হবে। তাহলেই পটি পরিষ্কার হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা এবং বদ হজমও কমে যাবে। প্রসঙ্গত, মেথি বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাসিলেজ নামে একটি উপাদান, যা বারে বারে পটি হওয়ার প্রবণতাকে হ্রাস করে। ফলে আপনা থেকেই কষ্ট কমে যায়। 

৭. দই: পেট খারাপ হলেই এক বাটি তাজা টক দই খেয়ে নেবেন। তাহলেই বারে বারে আর বাথরুম ছুটতে হবে না। আসলে টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্য়াতটেরিয়াম নামে দু ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া কমাতে দারুন উপকারে লাগে। প্রসঙ্গত, যতদিন না পেটের ব্যথা এবং পটি হওয়া কমবে, ততদিন দৈনিক ২-৩ কাপ টক দই খেয়ে যেতে হবে। 

৮. মৌরি: পেট ঠান্ডা করতে মৌরিকে অনেকেই কাজে লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি পেট খারাপের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে? অসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমি পালন করে। ১ কাপ গরম জলে ২ চামচ মৌরি মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে জলটা ছঁকে নিয়ে পান করুন। এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে। 

৯. কলা: শুধু পেট খারাপ নয়, যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারাতেই এই ফলটি দারুন কাজে আসে। আসলে কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্যাকটিন, যা পটিকে শক্তি করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া বা পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ১ গ্লাস বাটার মিল্কে ১ টা কলা চটকে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার করে খান। তাহলেই আরাম মিলতে শুরু করবে।

Related Posts

Leave a Reply