হলফ করে বলতে পারি ছেলেদের এই ৮টি সত্য কোনো মেয়েই জানে না
কলকাতা টাইমস :
যদি কোন মেয়ের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আপনি আপনার মনের মানুষকে কতটা চেনেন? তাহলে অধিকাংশ মেয়েরাই ইতিবাচক উত্তর দিতেই বেশী খুশি হবেন৷ কিন্তু আসলে মেয়েরা, নিজের সঙ্গীকে যতটা জেনে ফেলেছেন মনে করছেন ঠিক ততটা কিন্তু এখনো জানতে পারেন নি মানুষটি সম্পর্কে।
মন খারাপ হলেও এটাই বাস্তব৷ সাধারণত প্রায়ই একটি কথার মুখোমুখি হতে হয় আমাদের তাহল মেয়েদের মন বোঝা খুব মুশকিল৷ কিন্তু পুরুষের মন বোঝাও কিন্তু খুব সহজ নয়৷অধিকাংশ পুরুষেরা নিজের মনকে একটা শক্ত খোলসের আড়ালে লুকিয়ে রাখেন যেটা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। তাই পুরুষকে বোঝা যতটা সহজ মনে হয় আসলে ঠিক তার উল্টো৷ চলুন দেখে নেওয়া যাক, পুরুষ সম্পর্কে এমন কিছু অজানা তথ্য।
১. ছেলেরা নিজেদের কেমন দেখাচ্ছে তা নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন: মেয়েরা ভাবেন ‘কেমন দেখাচ্ছে, কি পোশাক পড়ব’ এগুলো নিয়ে ছেলেরা একেবারেই ভাবেন না। বরং হাতের কাছে যা পান তাই ফেলে। এই ধারনা একেবারেই ভুল। মেয়েদের মতো ছেলেরাও নিজেদের লুকস নিয়ে বেশ চিন্তিত । ছেলেরা মেয়েদের মতো ডায়েট না করলেও নিজেদের বডি নিয়েও এতই চিন্তিত থাকেন যেম রীতি মতো সালমান-হৃত্বিককে ফলো করা শুরু করে।
২. ছেলেরা মানসিক ভাবেই প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে উঠে: সামান্য বিষয় নিয়ে প্রতিযোগী মনোভাব এবং জিততেই হবে এই ধরণের ব্যাপারটি ছেলেদের মধ্যে আপনাআপনিই তৈরি হয়ে যায়। বলা হয়, ছেলেরা জন্মগত ভাবেই প্রতিযোগী ও জেতার মানসিকতা নিয়ে বড় হতে থাকেন।
৩. শুধুমাত্র শারীরিক আকর্ষণ ছেলেদের মনে ভালোবাসার সৃষ্টি করে না: অনেকেই মনে করেন, ছেলেরা শুধুমাত্র মেয়েদের শারীরিক বিষয়ে আকর্ষণ বোধ করলেই তাকে ভালোবেসে ফেলেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল, কারণ সাধারণভাবে এবং স্বাভাবিক ছেলেরা কখনই ভালোবাসার জন্য শুধুমাত্র শারীরিক আকর্ষণকে প্রাধান্য দেন না। তারা সমঝোতা, তাকে বুঝতে পারা এবং বাস্তবের সাথে মিলিত সকল বিষয় বিবেচনা করে ভালোবাসেন।
৪. ছেলেরা আত্মসম্মানকে ভালোবাসার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন: ভালোবাসার মূল্য ছেলেদের কাছে রয়েছে কিন্তু তারা ভালোবাসার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন আত্মসম্মানকে। ছেলেরা সবসময়েই নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে সম্মান আশা করেন। তাদের মাপকাঠিতে সম্মান ভালোবাসার চাইতেও উপরে থাকে। এই কারণে অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝি হলেও তারা এভাবেই চিন্তা করেন।
৫. ছেলেরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে থাকেন: সাধারণত আমরা জানি, মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ছেলেদের কাছে আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কিন্তু এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে ছেলেরা একেবারেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। নিজেদের একটু অসহায়ভাবে ছেলেরাও খুঁজে পান। আর তখনই ছেলেরা মেয়েদের কাছে মানসিক আশ্রয় খুঁজে থাকেন। তবে সেটা সাধারণত শারিরীক নয় মানুষিক শক্তি।
৬. ছেলেরা রোমান্স পছন্দ করলেও তারা তা প্রকাশ করতে ভয় পান: ছেলেরা খুব রোম্যান্টিক হয়ে থাকেন। কিন্তু তা সবসময় সঠিক ভাবে উপস্থাপন এবং প্রকাশ করতে পারেন না। কারণ তারা দ্বিধায় থাকেন ‘যদি অতিরিক্ত হয়ে যায়, কিংবা তিনি যদি কিছু ভুল করে ফেলেন অথবা তাকে নিয়ে যদি সঙ্গী মজা করেন’।
৭. ছেলেরা শোনা কথায় কান দেওয়ার চেয়ে, চোখে দেখায় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন: মেয়েরা একটু কথায় বেশি বিশ্বাসী হলেও ছেলেরা এই কাজটি একটু কমই করেন। ছেলেরা নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত কোনো কথা বিশ্বাস করতে চান না। তাই আপনি বলে বলে বিরক্ত না হয়ে তাকে সত্য দেখানোর চেষ্টা করুন, দেখবেন তিনি ঠিকই বিশ্বাস করে নিয়েছেন।
৮. ছেলেরা সবসময়েই নিজের ভালোবাসার মানুষটির সামনে দুর্বল: ছেলেরা উপরে যতোই শক্ত থাকুন না কেন তিনি তার ভালোবাসার মানুষটির সামনে অনেক বেশি দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলেন। হয়তো তিনি চান তার এই দুর্বল দিকটি শুধুমাত্র তার মনের মানুষটিই দেখুন।