November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বুদ্ধির গোড়ায় শান দিন, এভাবে …

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
জকাল জীবন এতো দ্রুত এগোয় যে সবসময় আমাদের কিছু না কিছু করে যেতে হয়। সবসময় ব্যস্ত। শারীরিক ও মানসিক সচলতা ভীষণ দরকার। কিন্তু এতো ছুটতে থাকার মাজখানে মাঝে-মধ্যেই যেন মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন আমাদের প্রথম চিন্তা শুরু হয় কি করব ? ডাক্তার দেখাব, ওষুধ খাব ? তবে জানেন কি এতো কিছু না করেও খবরে সামান্য একটু যত্ন নিলেই বুদ্ধির গোড়ায় শান দেওয়া যায়। চলুন আজ সেই খাবারগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করি যা আমাদের শুধু শারীরিক বিকাশই ঘটে না আমাদের বুদ্ধিকেও বাড়তে সাহায্য করে।

টমেটো : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোতে থাকা ‘লাইকোপেন’ নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করে ব্রেন সেলের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। একই সঙ্গে টক্সিক উপাদানগুলো যাতে মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকেও লক্ষ রাখে। ফলে আলঝেইমার্স এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

অলিভ অয়েল : ভারত উপমহাদেশে সাধারণত রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহৃত হয় না; কিন্তু যদি করা যায়, তাহলে দারুণ উপকার মিলতে পারে। আসলে এই তেলটিতে রয়েছে ‘পলিফনল’ নামে একটি উপাদান, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

হলুদ : এই প্রাকৃতিক উপাদানটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে। হলুদে কিছু উপাদান আছে, যেগুলো মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমায়। পাশাপাশি বুদ্ধির বিকাশও ঘটায়।

আখরোট : এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ফাইবার, যা নানাভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ায়।

নারিকেল তেল : চুলের পরিচর্যায় কাজে লাগানো হলেও রান্নার কাজে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে; কিন্তু নারিকেল তেল নিউরনের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে মস্তিষ্কের ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।

কুমড়ার বীজ : শরীরে জিংকের মাত্রা যত বাড়বে, ততই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়বে। পক্ষান্তরে আসলে বুদ্ধিই বাড়বে। তাই বুদ্ধি বাড়াতে কুমড়ার বীজ এক অনন্য উপাদান।

মাছ : বেশি তেল রয়েছে এমন মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড নামের একটি উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকর। এই উপাদানটি ব্রেন সেলের ক্ষমতা বাড়ায়।

জাম : এই ফলে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ব্রেন সেল যাতে শুকিয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ভেতরের প্রদাহ কমাতেও ভূমিকা রাখে।

Related Posts

Leave a Reply