কোন ধরনের পেশাজীবীদের অল্প কিছুদিন পর থেকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না দেখে নিন এখানে।
ডাকপিয়ন: বিশ্বজুড়েই এখন চিঠি লেখার চল প্রায় উঠে গিয়েছে। সারা পৃথিবী এখন সংযুক্ত ডিজিটাল মাধ্যমে। ফোর্বস পত্রিকা বলছে অচিরেই আর থাকবে না চিঠি পৌঁছে দেয়ার এই কাজটি।
ব্যাঙ্কের কাজ: ব্যাঙ্কে ক্যাশিয়ার বা বিলিং বিভাগের কাজও যন্ত্রই সামলে নিবে। এই কাজগুলি আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। টাকা তোলা বা জমা দিতে লাইনে দাড়ানোর দিন প্রায় ফুরিয়ে আসছে।
লাইব্রেরিয়ান: কম আসছে পাঠাগারে গিয়ে বই পড়ার অভ্যাস। ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্টে বলা হয়, বইয়ের তালিকা বেছে নেওয়ার দিকটিও যন্ত্রই করে দিবে।
কারখানা শ্রমিক: কারখানায় মানুষের জায়গা নিচ্ছে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় মেশিন। শ্রমিককে পারিশ্রমিক দিতে হয়, কিন্তু যন্ত্রকে দিতে হয় না। রোবটকেও এখন কারখানায় কাজে লাগানো হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
বিমান চালক: স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির কারণে বিমান চালক বা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের কাজও যন্ত্র বা যন্ত্রমানবই সামলে নেবে বলে জানাচ্ছে মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক পোস্টে।
সার্ভেয়ার ও ম্যাপিং টেকনিশিয়ান: রোবট ও অন্যান্য যন্ত্র দখল করে নেবে এই পেশা। এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে মানচিত্র তৈরির জন্য।
গাড়ি চালক: লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস জানাচ্ছে, অটোমেটেড গাড়ি বাজারে এলে প্রায় ৫০ লক্ষ গাড়ি চালক শুধু আমেরিকায় চাকরি হারাতে পারেন। একই কথা প্রযোজ্য বাস ও ট্রাক চালকদের ক্ষেত্রেও।
রেফারি: একটি বেসরকারি আন্তর্জাতিক চ্যানেলের সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে রেফারিং সিস্টেম পুরোটাই কম্পিউটার চালিত হয়ে যাবে। খেলোয়াড়দের পাশে পাশে আর দৌঁড়াতে দেখা যাবে না রেফারিদের।
টেলিমার্কেটিং: ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির কারনে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ টেলিমার্কেটার চাকরি হারাতে পারেন।
ছাপাখানা ও সংবাদপত্র: সংবাদমাধ্যমও ধীরে ধীরে ডিজিটাল হয়ে উঠছে। এখন মানুষ টুইটার বা ফেসবুক থেকেই খবর পেতে বেশি আগ্রহী। তাই সংবাদপত্রও ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়ে ভিন্ন আকার নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনুবাদক: যন্ত্র ও ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনের দৌলতে কাজ হারাতে পারেন বিশ্বের অসংখ্য অনুবাদক। তাদের জায়গা নিবে মেশিন ট্রান্সলেশন ইন্ডাস্ট্রি।
ঘড়ি সারাই মিস্ত্রি: ঘড়ির থেকে সময় দেখার বদলে ব্যস্ত মানুষ এখন মোবাইলে সময় দেখতে বেশি পছন্দ করেন, জানাচ্ছে মার্কিন এক সংস্থার রিপোর্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা ঘড়ি পরেন, ঘড়ি মেরামতের বদলে নতুন ঘড়ি কিনতেই তারা বেশি পছন্দ করছেন। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।