November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

আপনার নাকের এই দুই সমস্যা করোনার লক্ষণ!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রোনাভাইরাস ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৭ মিলিয়ন লোককে সংক্রামিত করেছে এবং ১ মিলিয়নেরও বেশি মৃত্যু ঘটিয়েছে । বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, একটি নিরাপদ এবং কার্যকর টিকা এখনও কমপক্ষে চার থেকে ছয় মাস দূরে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে করোনাভাইরেস নতুন দুই উপসর্গের কথা জানাচ্ছেন এতে আক্রান্ত রোগীরা।

আপনার নাকের করোনভাইরাস সংক্রমণের এই দুই লক্ষণ রয়েছে?
যেহেতু এখন অনেকেই বাড়ি ছেড়ে বের হতে শুরু করেছেন, সংক্রমণের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা বেড়েছে। প্রথমদিকে শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং শুকনো কাশি করোনাভাইরাসের বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচিত ছিল। কিন্তু এটি নিত্য নতুন উপসর্গ উপস্থাপন করছে। নাক দিয়ে জল পড়া এবং সর্দি করোনোভাইরাস সম্পর্কিত সাধারণ লক্ষণ নয়, এমনটাই জানি আমরা। তবে কিছু করোনা আক্রান্ত রোগী নাক দিয়ে জল ঝরা এবং সর্দির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে করোনার অন্যান্য লক্ষণের অভাবে একে ফ্লু বা সর্দির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা অস্বাভাবিক নয়।

কীভাবে জানবেন যে এটি করোনাভাইরাস?
ঠান্ডা, ফ্লু এবং করোনাভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হতে পারে। বিশেষ করে আপনার যদি নাক দিয়ে জল পড়া এবং সর্দির মতো সাধারণ লক্ষণ থাকে। শুষ্ক কাশি, জ্বর, একটানা ক্লান্তি এবং শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য লক্ষণ আছে কি-না খেয়াল করুন। শ্বাসকষ্টের অভিজ্ঞতা একটি মূল পার্থক্য হতে পারে, যা সাধারণত ফ্লু বা সাধারণ সর্দিজনিত ক্ষেত্রে দেখা যায় না। তবে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি একটি সাধারণ ঘটনা। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অনুসারে, বেশিরভাগ লোকের ক্ষেত্রে শুকনো কাশি এবং জ্বর করোনাভাইরাসের চিহ্নিতকারী, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্দি এবং নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা হয় না।

করণীয় :
যেহেতু করোনাভাইরাস উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে তাই আপনি যদি সর্দি বা ফ্লু জাতীয় কোনো লক্ষণ অনুভব করেন তবে সতর্ক হোন। কারণ এই লক্ষণগুলোর কোনোটি করোনাভাইরাসের উপসর্গ হতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে এটি হালকা ধাঁচের সংক্রমণ হলেও, অনেকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রামক বহন করতে পারেন । তাই মহামারী চলাকালীন আপনার ফ্লু জাতীয় অসুস্থতার কোনো লক্ষণ বা কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কষ্ট ভোগ করার চেয়ে নিরাপদ থাকা উত্তম।

প্রাথমিক রোগ নির্ণয় দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারে
করোনার সংক্রমণ এড়াতে সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। ফেসমাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত জীবাণুমুক্ত রাখা ইত্যাদি এখন পরিচিত। খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এর পাশাপাশি শরীরে কোনো লক্ষণ অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে কি-না, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। অসুখ যদি প্রথমেই ধরা পড়ে, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়। তাই নিজের প্রতি খেয়াল রাখা ও সতর্ক থাকা সমান জরুরি।

Related Posts

Leave a Reply