ছদ্মবেশে ধারণে মানুষ এদের কাছে কিছুই নয় !
[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :
টিকে থাকার সংগ্রাম প্রাণীদের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়। নানারকম কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকে প্রাণীরা। অনেক প্রাণী পারিপার্শ্বিকতার সাথে এমনভাবে খাপ খাইয়ে নেয় যে, তাদের অস্তিত্ব বোঝাই মুশকিল। কাউকে পাতা, কাউকে আবার পাথরের মতো মনে হয়৷
কিছু প্রাণীকে শুধু ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় যে, তারা পাতা বা গাছের ডালপালা নয়৷ অনেক পতঙ্গ পারিপার্শ্বিক প্রকৃতির রূপ ও রং গ্রহণ করে নিজেকে প্রায় অদৃশ্য করে ফেলে৷ একে অনুকৃতি বলা হয়৷
যেমন এক ধরনের ‘স্টিক ইনসেক্ট’ বা কাঠি পোকাকে চলন্ত পাতা বলে মনে হয়৷ প্রাণীদের ছদ্মবেশ ধারণের প্রবণতা বহু আগে থেকেই চলে আসছে বলে গবেষকরা জানতে পেরেছেন৷
কাঠি পোকা বলে পরিচিত প্রাণীটির অনুকরণের প্রবণতা পুস্পক গাছের উত্থানের সাথে সাথে বেড়ে উঠেছে৷ এতদিন মনে করা হতো এসবের শুরু হয় বুঝি ৯০ মিলিয়ন বছর আগে৷
গ্যোটিংগেন শহরের বিবর্তনবিষয়ক জীববিজ্ঞানী সোয়েন ব্রাডলারের পরিচালনায় এক গবেষণা টিম কাঠি পোকার ফসিলের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রমাণ করেছেন যে, এই প্রাণীটি ১২৬ মিলিয়ন বছর আগেও অনুকরণের কৌশল চালাতো৷
বিবর্তন-গবেষণা জগতে এক চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার এটি৷ সম্প্রতি এই বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘প্লস ওয়ান’-এ এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়৷
১২৬ মিলিয়ন বছর আগে চক প্রস্তরযুগে প্রাণীজগতে ডাইনোসোর ও উদ্ভিদ জগতে ফার্ন, গিংকো নেকেড সিড প্ল্যান্ট ইত্যাদির আধিপত্য ছিল৷ পুস্পক গাছ প্রায় দেখাই যেত না৷
ব্রাডলারের পরীক্ষিত ফসিলটি অবশ্য কোনো পুস্পক গাছকে নয় বরং গিংকো জাতীয় উদ্ভিদকে অনুকরণ করতো৷
অক্টোপাস পলের কথা মনে আছে? ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ভবিষ্যতবাদী করে যে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের মতে, অক্টোপাসের কিছু প্রজাতির বুদ্ধিমত্তা মানব শিশুর সমান৷
অনুকরণকারী পতঙ্গগুলো সাধারণত যেসব উদ্ভিদ তারা খেয়ে থাকে, চেহারার দিক দিয়ে সেসব উদ্ভিদকে অনুকরণ করতে চায়৷ আজ সেটা হলো পুস্পক গাছ, আর সেকালে সেগুলো ছিল নেকেড সিড প্ল্যান্ট’, বলেন জীববিজ্ঞানী ব্রান্ডলার৷জীবজগতের মধ্যে, বিশেষ করে পতঙ্গরা উদ্ভিদজগতের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে ওস্তাদ৷ এতে তারা শুধু আত্মরক্ষাই করার চেষ্টাই করতে চায় না, শিকারের প্রাণীটিকে ফাঁদেও ফেলতে চায়৷ যেমন ম্যান্টিস বা লম্বা পা বিশিষ্ট এক ধরনের ফড়িং এই কৌশলটি ভালোভাবে আয়ত্ত করেছে৷
অদৃশ্য হওয়ার কলাকৌশলে প্রকৃতিতে কোনো কমতি নেই৷ এক ধরনের শুঁয়াপোকা পাখির বিষ্ঠার মতো আকৃতি ধারণ করে, বলেন জীববিজ্ঞানী ব্রাডলার৷ তার কথায়, ‘জীবজগতে অনুকরণের ক্ষেত্রে এই সাফল্য দেখে মনে হয় এখন পর্যন্ত যা প্রমাণিত হয়েছে, বিষয়টি তারা চেয়েও অনেক পুরানো৷’
কিছু প্রাণীকে শুধু ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় যে, তারা পাতা বা গাছের ডালপালা নয়৷ অনেক পতঙ্গ পারিপার্শ্বিক প্রকৃতির রূপ ও রং গ্রহণ করে নিজেকে প্রায় অদৃশ্য করে ফেলে৷ একে অনুকৃতি বলা হয়৷
যেমন এক ধরনের ‘স্টিক ইনসেক্ট’ বা কাঠি পোকাকে চলন্ত পাতা বলে মনে হয়৷ প্রাণীদের ছদ্মবেশ ধারণের প্রবণতা বহু আগে থেকেই চলে আসছে বলে গবেষকরা জানতে পেরেছেন৷
কাঠি পোকা বলে পরিচিত প্রাণীটির অনুকরণের প্রবণতা পুস্পক গাছের উত্থানের সাথে সাথে বেড়ে উঠেছে৷ এতদিন মনে করা হতো এসবের শুরু হয় বুঝি ৯০ মিলিয়ন বছর আগে৷
গ্যোটিংগেন শহরের বিবর্তনবিষয়ক জীববিজ্ঞানী সোয়েন ব্রাডলারের পরিচালনায় এক গবেষণা টিম কাঠি পোকার ফসিলের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রমাণ করেছেন যে, এই প্রাণীটি ১২৬ মিলিয়ন বছর আগেও অনুকরণের কৌশল চালাতো৷
বিবর্তন-গবেষণা জগতে এক চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার এটি৷ সম্প্রতি এই বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘প্লস ওয়ান’-এ এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়৷
১২৬ মিলিয়ন বছর আগে চক প্রস্তরযুগে প্রাণীজগতে ডাইনোসোর ও উদ্ভিদ জগতে ফার্ন, গিংকো নেকেড সিড প্ল্যান্ট ইত্যাদির আধিপত্য ছিল৷ পুস্পক গাছ প্রায় দেখাই যেত না৷
ব্রাডলারের পরীক্ষিত ফসিলটি অবশ্য কোনো পুস্পক গাছকে নয় বরং গিংকো জাতীয় উদ্ভিদকে অনুকরণ করতো৷
অক্টোপাস পলের কথা মনে আছে? ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ভবিষ্যতবাদী করে যে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের মতে, অক্টোপাসের কিছু প্রজাতির বুদ্ধিমত্তা মানব শিশুর সমান৷
অনুকরণকারী পতঙ্গগুলো সাধারণত যেসব উদ্ভিদ তারা খেয়ে থাকে, চেহারার দিক দিয়ে সেসব উদ্ভিদকে অনুকরণ করতে চায়৷ আজ সেটা হলো পুস্পক গাছ, আর সেকালে সেগুলো ছিল নেকেড সিড প্ল্যান্ট’, বলেন জীববিজ্ঞানী ব্রান্ডলার৷জীবজগতের মধ্যে, বিশেষ করে পতঙ্গরা উদ্ভিদজগতের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে ওস্তাদ৷ এতে তারা শুধু আত্মরক্ষাই করার চেষ্টাই করতে চায় না, শিকারের প্রাণীটিকে ফাঁদেও ফেলতে চায়৷ যেমন ম্যান্টিস বা লম্বা পা বিশিষ্ট এক ধরনের ফড়িং এই কৌশলটি ভালোভাবে আয়ত্ত করেছে৷
অদৃশ্য হওয়ার কলাকৌশলে প্রকৃতিতে কোনো কমতি নেই৷ এক ধরনের শুঁয়াপোকা পাখির বিষ্ঠার মতো আকৃতি ধারণ করে, বলেন জীববিজ্ঞানী ব্রাডলার৷ তার কথায়, ‘জীবজগতে অনুকরণের ক্ষেত্রে এই সাফল্য দেখে মনে হয় এখন পর্যন্ত যা প্রমাণিত হয়েছে, বিষয়টি তারা চেয়েও অনেক পুরানো৷’