ওরা আমাকে অন্যায় ভাবে আক্রমণ করে -মেসি
কলকাতা টাইমসঃ
মেসির ওপর আর্জেন্টাইন ভক্তদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আর এই প্রত্যাশা যখন পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তখনই তাকে সমালোচনায় বিঁধছেন তার সমর্থকরা। কারণ তারা চান মেসি তাদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ এনে দিক। অনেকে তো বলে থাকেন, মেসি নাকি নিজের দেশ আর্জেন্টিনার চেয়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাতেই মন প্রাণ উজার করে দিয়ে খেলেন! এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং মেসি।
নিজের দেশের সংবাদপত্রে মেসি বলেন, দেশের হয়ে খেলা নিয়ে অন্যায়ভাবে অনেকেই তার সমালোচনা করে থাকেন। বিশেষ করে কোপা আমেরিকা ফাইনালে হারের পরে যে ভাবে নিন্দুকরা তার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ করতে নেমেছিল, তা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তিনি।সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে বলা কথাগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণের গন্ধও খুঁজে পেয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার ‘লা ন্যাসিয়ন’ সংবাদপত্রে মেসি বলেছেন, ‘কোপা আমেরিকার সময় অনেক কথা বলা হয়েছিল। সেই সব মন্তব্যগুলোর সঙ্গে বাস্তবের কোনো সম্পর্ক ছিল না। বেশির ভাগ মন্তব্য আমাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছিল। আমি নাকি দেশের হয়ে খেলতে চাই না। জাতীয় সঙ্গীতও গাই না। আমি নাকি আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের জার্সির গুরুত্ব বুঝি না। এই সব মন্তব্য শুনে একটাই কথা মনে হত। অন্যায়ভাবে ওরা আমাকে আক্রমণ করছে।’
সমালোচকদের মন্তব্য নিয়ে যে তিনি ভাবতে বাধ্য হয়েছিলেন, সে কথাও গোপন করেননি মেসি। বলেছেন, ‘অনেক সময় ভেবেছি, সত্যি কি আমিই সমস্ত সমস্যার কারণ? নাকি আমাদের পুরো দলটাই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে? কিন্তু সেই ভাবনাগুলো চিরস্থায়ী হয় না। মন্তব্যগুলোকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছি।’ নিজের সেরাটা দিয়েও যে সব সময় সেরা হওয়া যায় না, সেই যন্ত্রণা বিদ্ধ করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকাকে। মেসির কথার মধ্যে বেরিয়ে আসে সেই যন্ত্রণার সুর, ‘মাঝেমধ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করার পরেও নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ফল পাওয়া যায় না। জীবনে কিছু ঘটনা ঘটে, যার কোনো উত্তর পাওয়া যায় না।’
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামতে যে তিনি গর্বিত বোধ করেন, তা জানিয়ে মেসি বলেন, ‘যখন মনে করি, এই আর্মব্যান্ডটা আমাদের দেশের কী সব বিখ্যাত নামের শরীরে উঠেছে, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। তৎক্ষণাৎ আমার মধ্যে দায়িত্বজ্ঞান তৈরি হয়। মনে হয়, ভালো খেলে আমার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমার দায়িত্ব দেশের হয়ে ভালো খেলা এবং দেশকে ফুটবল মাঠে জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখা।’