কফি খাবার আগে ভেবে নিন বুদ্ধিমান হতে চান না বোকা
কলকাতা টাইমস :
যুদ্ধ হোক কী বসের মন, জিততে গেলে বুদ্ধিমান হওয়াটা জরুরি। না হলেই খেল খতম! কারণ বুদ্ধির জোরেই তো সারা দুনিয়াকে শাসন করছেন উইনাররা। আর অন্যদিকে লুজাররা বোকা বোকা মুখ করে কেবল চালাক হওয়ার চেষ্টায় লেগে রয়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত নিন বুদ্ধিমান হতে চান না বোকা?
যদি ঠিক করে থাকেন ব্রেন পাওয়ার বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে বুদ্ধির ধার বাড়াবেন, তাহলে ভুলেও কফির পেয়ালায় চুমুক দেবেন না যেন! না হলে কিন্তু বিপদ! কফিতে এমন কী আছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন, শরীরে বেশি মাত্রায় ঢুকতে থাকলে ঘুমের পরিধি কমতে শুরু করে। ফলে মস্তিষ্ক আরাম পাওয়ার সুয়োগ পায় না। এতে ধীরে ধীরে ব্রেন পাওয়ার কমতে শুরু করে।
সেই কারণেই তো গবেষকরা বলে থাকেন যে আমরা কেমন ধরনের খাবার খাচ্ছি, তার উপর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়বে, না কমবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে। যেমন ধরুন যারা ব্যালেন্স ডায়েট মেনে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার বেশি হয়। তাই তো ডায়েটের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে ডিপ্রেশনের প্রকোপ বৃদ্ধির পিছনে অনেকাংশেই দায়ি ডায়েট। তাই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হন। তাহলেই দেখেন বুদ্ধি তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটবে।
সাধারণত কফির পাশাপাশি যেসব খাবার খেলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেগুলি হল…
১. চিনি:
বেশি মাত্রায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিনের ক্ষরণ ভেড়ে যায়। এই প্রোটিনটি নিউরোনদের কর্মক্ষমতা কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই এবার থেকে ভুলেও বেশি মাত্রায় চিনি খাবেন না যেন!
২. অ্যালকোহল:
বেশ কিছু কেস স্টাডি করে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হয়েছেন যে নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করলে মস্তিষ্কের তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে বুদ্ধিও ভোঁতা হতে শুরু করে। তাই বোকা হয়ে যদি সারা জীবন কাটাতে না চান, তাহলে ভুলেও বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন করবেন না।
৩. স্যাচুরেটেড ফ্যাট:
যে যে খাবারে হাইড্রোজেনেটেড অয়েল, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই তিনটি উপাদানের মাত্রা শরীরে বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়, তেমনি মস্তিষ্কে ঠিক মতো রক্ত চলাচল করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন এবং পুষ্টির অভাবে ধীরে ধীরে ব্রেন পাওয়ার কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ভাজা জাতীয় খাবার এবং জাঙ্ক ফুডে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি থাকে। তাই এই ধরনের খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।
৪. বেশি মাত্রায় নুন খাওয়া নৈব নৈব চৈ:
শরীরে নুনের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে নিউরোলজিকাল সিস্টেমের মারাত্মক ক্ষতি হয়, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেমন দুর্বল হয়ে পরে, তেমনি রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। এইসব কারণে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের অন্দরে এত ক্ষতের সৃষ্টি হয় যে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
৫.আইস ক্রিম:
কী মশাই আইসক্রিম খেতে খুব ভালবাসেন নাকি? তাহলে তো ভালবাসা কমাতে হবে। কেন! কারণ আইসক্রিম থাকে অনেক মাত্রায় চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আর যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে এই দুটি উপাদান মস্তিষ্কের জন্য বেজায় ক্ষতিকারক। তাই ব্রেনকে চাঙ্গা রাখতে ভুলেও বেশি মাত্রায় আইস ক্রিম খাওয়া চলবে না কিন্তু!