প্রিয়জন মারা গেলে এই কাজ করার আগে একটু ভাবুন ! নইলে মারাত্মক বিপদ!
কলকাতা টাইমস :
মৃত্যুই মানুষের সর্বশেষ পরিণতি। সকল সংগ্রামের সমাপ্তি। মরোণোত্তর কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তর্কের শেষ নেই। তবে এই বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই ঘটে, যা যুক্তিবাদীদেরও নতুন করে ভাবায়। সম্প্রতি এমন এক ঘটনার কথা জানা গিয়েছে, যা আলোড়ন তুলেছে নেট দুনিয়ায়।
দক্ষিণ পশ্চিম চীনে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ঠান্ডার কারণে তার শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিছুদিন আগেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এরপর রীতি মেনেই তার পরিবার সৎকারের ব্যবস্থা শুরু করে।
প্রথমে আত্মীয়স্বজনদের খবর দেওয়া হয় এবং তারা আসার পরে বৃদ্ধকে চিরবিদায় জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। বৃদ্ধকে কফিনবন্দি করে ঢাকনা আটকে দেন পরিবারের সদস্যরা। সবে সমাধিক্ষেত্রের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন, এমন সময় ঢাকনা খুলে উঠে বসেন বৃদ্ধ। যারা ঘরে ছিলেন, স্বভাবতই ভয় পেয়ে যান। অনেকে ঘর থেকে পালান।
বৃদ্ধ কাঁপা কাঁপা গলায় তার ছেলেকে প্রশ্ন করেন, ‘কী হচ্ছে এটা? আমাকে সমাধি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে নাকি?’ বৃদ্ধের ছেলে ভুলটা বুঝতে পারেন মুহূর্তের মধ্যে। তার বাবা এখনও জীবিত। আট ঘণ্টা ধরে নাড়ির গতিবিধি বাইরে থেকে অনুভব করা না গেলেও, ভিতরে সচল ছিল। তিনি বৃদ্ধকে কফিন থেকে তুলে ততক্ষণাৎ খাটে রাখেন। তিনি বুঝতে পারেন, সৎকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা তার উচিৎ ছিল। নয়তো ক্ষণিকের ভুলে মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারত।
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ ‘মরোণোত্তর’ দশা থেকে জীবদ্দশায় ফিরে এলেও তার শরীর এখনও আগের মতোই দুর্বল। তবে তার ছেলের বিশ্বাস, কিছুদিনের মধ্যেই বাবা সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। বলা বাহুল্য, প্রিয়জনের নিশ্বাস বন্ধ হলেই সৎকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন না। অন্যথায় আফশোসের শেষ থাকবে না।