ঘরে বসেই দুনিয়া বদলে দিতে পারে মস্তিষ্কের অসীম ক্ষমতার অধিকারী থার্ড আই

প্রাচীন নানা নথি থেকে জানা যায়, অতীতে এশিয়া অঞ্চলে কিছু মানুষ ছিলেন যারা মনকে কাজে লাগিয়ে অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারতেন। তাদের যোগী বলা হতো। আফ্রিকাতেও শামান নামের এমন মানুষের উল্লেখ রয়েছে। এরা নাকি দূর থেকে হাতের ইশারায় বিভিন্ন বস্তুকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে পারতেন। মনের শক্তি প্রয়োগ করে বহু দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, ভাব বিনিময় করতেন। এক জায়গায় বসে থেকে দূর দূরান্তের খবর বলতে পারতেন। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান সেসব বিষয়কে ধাপ্পাবাজি বলেই আখ্যা দেয়।
বেশি দিন আগের কথা নয়, মানুষের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করতে গিয়ে Pineal Gland নামের এমন এক ক্ষুদ্র অঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি। থার্ড আই নামক ক্ষুদ্র চালের দানার মতো অঙ্গটির ক্ষমতা নাকি অসীম।
বলা হয়, অতীতে মানুষ এর ব্যবহার জানলেও আধুনিক সভ্যতার মানুষেরা তা জানে না। যদিও হালের বিজ্ঞানীদের অভিমত, মানুষের ঘুমিয়ে যাওয়া ও জেগে ওঠার সঙ্গে এর নাকি সম্পর্ক রয়েছে। তবে এর প্রকৃত কাজ যে কি সে সম্পর্কে বিতর্ক এখনও চলছে।
তবে বিজ্ঞান স্বীকার না করলেও মানসিক শক্তির সত্যতা সম্পর্কে একপক্ষ ঠিকই দাবি করে থাকে। এসব ক্ষমতার অন্যতম হচ্ছে টেলিকিনেসিস। এটি হচ্ছে বিশেষ এক ইচ্ছাশক্তিগত ক্ষমতা, যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বলা হয়, টেলিকিনেসিস ক্ষমতার মাধ্যমে কোনো বস্তুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরানো সম্ভব। কিংবা মনের শক্তির সঙ্গে শরীরিক ক্ষমতার সংযোগ ঘটিয়ে অসাধ্য সাধন করা যায়। যেমন চোখ কিংবা হাত দূরে রেখেই কোনো শক্ত বস্তুকে সরানো অথবা বাঁকিয়ে ফেলা।
পৃথিবীতে হালের বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেন তা বলা যাবে না। কেননা, পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা সত্যিই এই অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী। তিব্বতের লামাদের মধ্যেও শূন্যে উঠে যাওয়াসহ মনঃসংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন অসাধ্য সাধন করতে দেখা যায়। কোনো কোনো বিজ্ঞানী তাই বলে থাকেন, কোনো কোনো মানুষ এই শক্তি হয়তো তার অজান্তেই প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু এর ফলে শরীর ও মনের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে।
এটি হচ্ছে বিশেষ এক ইচ্ছাশক্তিগত ক্ষমতা, যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বলা হয়, telekinesis ক্ষমতার মাধ্যমে কোনো বস্তুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরানো সম্ভব। কিংবা মনের শক্তির সঙ্গে শরীরিক ক্ষমতার সংযোগ ঘটিয়ে অসাধ্য সাধন করা যায়। যেমন চোখ কিংবা হাত দূরে রেখেই কোনো শক্ত বস্তুকে সরানো অথবা বাঁকিয়ে ফেলা।
পৃথিবীতে হালের বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেন তা বলা যাবে না। কেননা, পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা সত্যিই এই অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী। তিব্বতের লামাদের মধ্যেও শূন্যে উঠে যাওয়াসহ মনঃসংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন অসাধ্য সাধন করতে দেখা যায়।
কোনো কোনো বিজ্ঞানী তাই বলে থাকেন, কোনো কোনো মানুষ এই শক্তি হয়তো তার অজান্তেই প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু এর ফলে শরীর ও মনের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। কেনেথ জে ব্যাচেলর নামের ব্রিটিশ এক বিজ্ঞানী ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২০ বছর টেলিকিনেসিস নিয়ে পরীক্ষা করে জানান, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণাও অতীত শক্তিশালী ফোর্স ফিল্ড তৈরির ক্ষমতা রয়েছে।