এই সময় গলা শুকিয়ে যাওয়া কিন্তু মারণ রোগের লক্ষণ
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রাতে ঘুমানোর আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলেও, মাঝ রাতে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তাই বারবার উঠে জল খেতে গিয়ে ঘুমটাই ঠিকমতো হয় না। আর ঘুম না হওয়ার কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যাওয়া কিন্তু বিভিন্ন বড় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তাই রোজই এমন হতে থাকলে, শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন। দেখে নিন কী কী কারণে এমনটা হতে পারে –
১) অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার : স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা তেল-মশলা কমই খেয়ে থাকেন, কিন্তু অনেকেই আবার রান্নায় তেল, মশলা বেশি না হলে খেতে পারেন না। আর এই অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেলেও গলা শুকোনোর মতো সমস্যা হতে পারে।
২) ঘুমানোর সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া : অনেকেই ঘুমানোর সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। বিশেষত, সর্দি হলে বা নাক বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও, যাদের হাঁপানির সমস্যা থাকে তারা নাকের বদলে অনেক সময় মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেন। ফলে সহজেই মুখের ভিতর শুকিয়ে যায়।
৩) ডিহাইড্রেশন বা বদহজম : রাতে ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন বা বদহজম। শরীরে জলের মাত্রা কমলেই গলা শুকোতে থাকে। বিশেষত, শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন কিন্তু মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হজমের সমস্যা হলেও গলা শুকিয়ে যায়!
৪) জেরোস্টোমিয়া ও সেপসিস :জেরোস্টোমিয়া নামক এক রোগের কারণে মুখে লালা কমে যায়। যার ফলে এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেপসিস-এর মতো ভয়ানক রোগেরও উপসর্গ এটি।
৫) ডায়াবিটিস ডায়াবিটিস :থাকলেও গলা শুকিয়ে যায়। এটি সুগারের অন্যতম উপসর্গ। অতিরিক্ত পরিমাণে মূত্রের জেরে শরীরে জলের সমতা থাকে না, ফলে গলা শুকোয়।
৬) ধূমপান ও অ্যালকোহল পান : যাদের ধূমপান ও অ্যালকোহল পানের অভ্যাস আছে, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন ধূমপান ও অ্যালকোহল পান করেন তাদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ মানুষের মুখের লালা উৎপাদন কমে গিয়েছে! অ্যালকোহল শরীরকে শুষ্ক করে তোলে ও জলের চাহিদা তৈরি করে।
৭) উচ্চ রক্তচাপের কারণে : যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাদের অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে জলের মাত্রা ঠিক থাকে না। এর ফলে গলা শুকিয়ে যায়। এছাড়াও, লিভার, হার্ট, কিডনি কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করলেও এই সমস্যা হতে পারে।