এই রং-এ রয়েছে সহজেই ঘুম কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা
কলকাতা টাইমস :
রঙের সঙ্গে ঘুমের কি সম্পর্ক? এটাই ভাবছেন তো ! আছে, আছে। গবেষণা তাই বলছে। গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের ঘুম-ঘুম ভাব কেড়ে নিয়ে মস্তিষ্ক সজাগ করে তুলতে পারে একটি বিশেষ রং। রঙটির নাম সায়ান। সহজ করে বলতে গেলে, সবুজ আর নীল মেশালে যে রং হয় সে রকম।
জীব বিজ্ঞানীদের মতে, এই রঙের মধ্যে এমন একটি গোপন উপাদান আছে, যা এক ঝটকায় মানুষের ঘুম তাড়িয়ে মস্তিষ্ককে সজাগ করে তুলতে পারে। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, চোখের সামনে এই সায়ান রং বেশি মাত্রায় থাকলে মানুষের ঘুম কমে যায়। অন্যদিকে, এই রং সরিয়ে রাখলে ঘুমিয়ে পড়া সহজ হয়। চোখের সামনে এই রঙের পরিবর্তন যদি তেমন একটা দৃশ্যমানও না হয় তাও এর প্রভাব অনুভব করা যায় বলে জানান তারা।
গবেষকরা জানান, তারা কম্পিউটার এবং মোবাইলের স্ক্রিনের জন্য এমন কোনো জিনিস তৈরি করতে চান যা দিয়ে সায়ানের রঙের মাত্রা কমানো বাড়ানো যাবে।
‘নাইট মোড’ : ঘুম গবেষকরা এরই মধ্যে ঘুমের সঙ্গে রঙের একটি সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে যে নীল রঙের আলো বিচ্ছুরণ হয় সেটি ঘুমের বিলম্ব করে বলে চিহ্নিত করেছেন তারা। এ কারণে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের সেটিংসে নাইট মুড নামের একটি অপশন থাকে। যেটি এই ব্লু লাইটের পরিমাণ কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। এতে রাতের বেলা ঘুমের ব্যাঘাত কম হয়।
এ নিয়ে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানীরা সুইজারল্যান্ডের বাসেন শহরে গবেষণা পরিচালনা করে।
এই গবেষণা নিয়ে ‘স্লিপ’ নামে একটি জার্নাল প্রকাশ করেন তারা। সেখানে সায়ান রঙের কয়েকটি বিশেষ প্রভাবের কথা উঠে আসে। যখন মানুষ চোখের সামনে কম বা বেশি পরিমাণ সায়ান রং দেখতে পায় তখন গবেষকরা তাদের লালার নমুনা থেকে স্লিপ হরমোনের মাত্রার তারতম্য পরিমাপ করতে পারে।
অধ্যাপক রব লুকাস বলেন, কারো জন্য এটা জরুরি নয় যে সে নিজে রঙের পার্থক্য দেখতে পারছেন কিনা।
খালি চোখে এই পার্থক্য দৃশ্যমান না হলেও শরীর এই পরিবর্তনের কারণে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে কিনা সেটি বেশি জরুরি। তিনি বলেন, সায়ান রঙের সঙ্গে মিলিয়ে যদি অন্য কোনো রং তৈরি করা হয় তাহলে সেটাও মানুষের ঘুমে প্রভাব ফেলতে পারে। সবুজের এমন বিভিন্ন শেডে সায়ান রং মেশানো থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সায়ানের কাছাকাছি অন্য কোনো রং মিশিয়ে কাঙ্ক্ষিত রং তৈরি করা যেতে পারে।