অবাক করবে টাকার এই বিকল্প
কলকাতা টাইমস :
গোটা দুনিয়াটাই টাকা.. টাকা করে পাগল। যত যন্ত্রনা সবের মুলে টাকা। কিন্তু ভাবুন এই পৃথিবীতে এক সময় টাকা মানে অর্থের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। তখন কিন্তু মানুষের প্রতিটি প্রয়োজন একে-ওপরের আদান-প্রদান থেকেই মিটতো। এই আদান প্রদানে এমন কিছু অদ্ভুত বিকল্প ছিল যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
ঝিনুকের খোলস : ঝিনুকের খোলাসা এখন সাধারণত শখের জিনিস। সমুদ্র বিহারে গেলে সাথে কুড়িয়ে এনে ঘরে সাজিয়ে রাখি। তার কোনো মূল্য নেই। কিন্তু জানেন কি মানবজাতির ইতিহাসে বিশ্বজুড়েই ঝিনুকের খোলস ছিল টাকার মতো মূল্যবান সামগ্রী। এর মুদ্রা হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু খাবার বা অন্য দ্রব্য নয়, সেবার বিনিময়েও দেয়া হতো ঝিনুক। এই মুদ্রার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যেতো আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায়।
লবণ : রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই মুদ্রা হিসেবে লবণের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মাংস ও অন্যান্য খাবার সংরক্ষণে, এমনকি ক্ষত সারাতেও লবণের ব্যবহার ছিল বহুল প্রচলিত। ফলে ধীরে ধীরে এই মুদ্রার ব্যবহার রোমান সাম্রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।
চা পাতার ইট : নবম শতাব্দী থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত তিব্বত, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও চীনে চা পাতার বিশেষ ধরনের ইট ব্যবহৃত হতো মুদ্রা হিসেবে। চা পাতাকে চাপ দিয়ে তৈরি করা হতো এই বিশেষ আকারের ইট। তবে ব্যবহারের এলাকা, চায়ের সহজলভ্যতা, মানের ওপর নির্ভর করে ইটের মূল্যেও হতো তারতম্য।
বীবরের চামড়া : বীবর এক ধরনের উভচর পশু। নেটিভ অ্যামেরিকানদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইউরোপীয়দের প্রথম পছন্দ ছিল এই বীবরের চামড়া। এই চামড়া নেটিভ অ্যামেরিকান এবং ইউরোপীয়দের উভয়ের কাছেই ছিল মূল্যবান।
মাছ : বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে একসময় মুদ্রা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিল মাছ। নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো শুকনো মাছ। এশিয়া ও আফ্রিকা তো বটেই, ইউরোপের অনেক এলাকাতেও মুদ্রা হিসেবে স্বর্ণ স্বীকৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহৃত হতো মাছের মুদ্রা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে অ্যামেরিকার বিভিন্ন কারাগারের কয়েদিরা এখনও গোপন মুদ্রা হিসেবে মাছ ব্যবহার করে থাকেন।