বলিরেখা সরিয়ে যৌবন দেবে ‘দ্বিতীয় ত্বক’
কলকাতা টাইমস :
স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পাওয়া ও অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে ত্বকে বলিরেখা পড়ে। বয়স্ক দেখায় মানুষকে। বলিরেখাহীন চেহারা পেতে বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে তৈরি করেছেন নতুন ত্বক যাকে বলা হচ্ছে ‘সেকেন্ড স্কিন’ বা ‘দ্বিতীয় ত্বক’।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল, অলিভো ল্যাবস এবং জেনিফার অ্যানিস্টনস বিউটি কম্পানির গবেষকরা সম্প্রতি তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, এমন এক ধরনের উপাদান আবিষ্কার করেছেন তারা যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আরো উন্নত গবেষণার মাধ্যমে একে বলিরেখা দূরীকরণের চিকিৎসা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। এর মাধ্যমে ত্বকের একজিমা বা অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা গত ১০ বছর ধরে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কাজে তারা শতাধিক সম্ভাব্য পলিমারের লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন যাতে সিলোক্সেন নামের রাসায়নিক কাঠামো বিরাজ করে। সিলিকন এবং অক্সিজেনের আণবিক গঠন পরিবর্তনে সক্ষম সিলোক্সেন। ত্বকের দৃশ্যমান এবং অভ্যন্তরীন উপাদানের সঙ্গে খাপ খায় এমন ক্রস-লিঙ্কড পলিমার লেয়ার (এক্সপিএল) তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষক বারবারা গিলক্রিস্ট বলেন, ত্বকের মতো আচরণ এমন পদার্থ তৈরি করা খুবই কঠিন বিষয়। অনেকেই এ কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এমন কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি যা ত্বকের মতো স্থিতিস্থাপক, আরামদায়ক, বিরক্তি উদ্রেককারী নয়।
এক্সপিএল টানার পরও ত্বকের মতোই আবারো আগের অবস্থায় ফিরে আসে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ২৫০ শতাংশ টানার পরও পদার্থ তার স্থিতিস্থাপকতা হারায় না। সত্যিকার ত্বক ১৮০ শতাংশ পর্যন্ত টানা যায়। নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিষয়ে কয়েকটি পরীক্ষা চালান তারা। এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি ত্বক থেকে ময়েশ্চার হারানো প্রতিরোধ করে। এর কার্যকারিতা উচ্চমানের বাণিজ্যিক প্রসাধনের চেয়েও অনেক বেশি।
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের ডার্মাটলজিস্ট থান গা ট্রান জানান, কসমেটিক এবং ননকসমেটিক উভয় ক্ষেত্রে দারুণ কাজ দেবে নতুন আবিষ্কার। তিনি নিজে এ গবেষণা দলে ছিলেন না। তবে আশাবাদ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেন।