প্রতিদিনের এই ৬টি ভুলে এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে
কলকাতা টাইমস :
ইসলামি পরিভাষায় বলা হয়, মানব দেহ আল্লাহ তায়ালার নির্দেষে তৈরি করেছেন ফেরেশতাগণ আর আল্লাহ তায়ালা নিজে তৈরি করেছেন মস্তিষ্ক। অপর দিকে বিজ্ঞান বলছে, মানবদেহের সকল কার্যক্রম মস্তিষ্ক দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থ্যাৎ মস্তিষ্কের যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে পুরো শরীরেরই ক্ষতি। তাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু প্রতিদিন কিছু ভুল কাজ করার কারণে দিন দিন আমরা যেমন মস্তিষ্ককের ক্ষতি করছি। ঠিক তেমনি এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে।
যে ৬টি ভুলে প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার মস্তিষ্ক আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।
অপর্যাপ্ত ঘুম : যেকোনো মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এতে কম বয়সেই স্মৃতিশক্তি কমে যায়, দেখা দেয় নানা সমস্যা।
মাথা ঢেকে ঘুমানো: আমরা অনেকেই ঘুমানোর সময় চাদর দিয়ে মাথা ঢেকে ঘুমাই। এতে চাদরের নিচের বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
কথা বেশি বলা, কম বলা : অনেকেই আছেন যারা কথা বলেন খুব কম। যারা কথা বলেন কম, তারা এখন থেকে আরেকটু বেশি কথা বলুন। কারণ কম কথা বললে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
তবে যারা মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন- তাদের মস্তিষ্কের ভবিষ্যৎ মারাত্মক। ক্ষতিকারক রেডিয়েশনের প্রভাব তো আছেই, বরং কাজে অনিহা বাড়াতে মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথোপকথন বিশেষভাবে কাজ করে।
অসুস্থ শরীরে অতিরিক্ত কাজ : অনেকেই অসুস্থ শরীরে অতিরিক্ত কাজ করেন থাকেন। অসুখ নিয়ে পড়াশোনা করা কিংবা মস্তিষ্কে চাপ তৈরি করে এমন কাজ করলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। তাই অসুস্থতার সময় কাজ না করে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
ধূমপান ও মদ্যপান : ধূমপানের নেশা ছাড়তে দিনক্ষণ ঠিক না করে, আজই, এ মুহূর্তে ছেড়ে দিন। অতিরিক্ত ধূমপান মস্তিষ্কের, তথা সারা দেহের ক্ষতি করে। আর যারা অ্যালকোহলে আসক্ত ভবিষ্যতে তাদের মস্তিষ্ক দিনে দিনে কার্যকারিতা হায়, হ্রাস পায় স্মৃতিশক্তি।
বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তার অভাব : যারা প্রাতিষ্ঠানিক পড়া-লেখা শেষ করার পর বেকার হয়ে বসে থাকেন, অথবা বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ কম করেন, তাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে বাসা বাঁধে বিষণ্যতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব। তাছাড়া উপস্থিত বুদ্ধি কমে যায় এবং সবকিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া
এছাড়া বায়ু দূষণের ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিক হলো মস্তিষ্কের ক্ষতি। বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া মস্তিষ্কের বারোটা বাজানোর জন্য শব্দ দূষণের জুরি নেই। তাই পারতো পক্ষে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় এমন কাজ এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।