যেকোন বিচ্ছেদের কষ্ট কমাবে টক থেরাপি
কলকাতা টাইমস :
প্রেম বা বিবাহবিচ্ছেদ আমাদের মনে নানাভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই এর প্রভাব মোকাবেলার পদ্ধতিগুলো জানা প্রয়োজন।
করণীয়
* বাস্তবতা মেনে নিন। প্রথম দিকে খারাপ লাগবে এবং আগের মতো কর্মস্পৃহা বা দক্ষতা থাকবে না।
তবে কিছুদিনের মধ্যেই কষ্টের তীব্রতা কমে যাবে এবং আপনার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।* সুস্থভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার পথগুলো বেছে নিন। মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজের যত্ন নিন ও সক্রিয় থাকুন। স্বাভাবিক রুটিন বজায় রাখুন।
নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম এবং পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে সেরোটেনিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। ভেঙে না পড়ে নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলুন।* বিশ্বস্ত ও বিচক্ষণ কারো সঙ্গে কথা বলুন। আপনার মতো অবস্থায় যারা পড়েছে, তারা কিভাবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে তা জানুন।
এতে উপকার পাবেন।* জীবনের পরিকল্পনায় বড় কোনো সিদ্ধান্ত হুট করে নেবেন না, সময় নিন।
* পরিবারের সদস্য, সন্তান, বন্ধু-বান্ধব যারা আপনার প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সঙ্গে সময় কাটান।
* নতুন কিছু শিখুন। অথবা আপনি যে কাজে পারদর্শী অথবা যে কাজগুলো উপভোগ করেন সেগুলো নতুন করে চর্চা করুন।
কবিতা লেখা, ছবি আঁকা, রান্না করা, বাগান পরিচর্যা করা, গান-নাচ বা কারুশিল্পের কাজ শিখতে পারেন।
* সংগ্রামী ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন। তাতে অনুপ্রেরণা পাবেন।
* সন্তান থাকলে তাকে আশ্বস্ত করুন। তার সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করুন। মনে রাখবেন, বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, যা আপনি পালন করতে পারবেন। অন্যথায়, বাচ্চার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তা খারাপ হবে। কারণ আপনার মতো সেও এরই মধ্যে ট্রমাটাইজড।
* প্রয়োজনে সাইকিয়াট্রিস্ট অথবা সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিন। টক থেরাপি এবং সাময়িক চিকিৎসায় অতি দ্রুত আপনি ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারবেন, যা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত।
* কাজে প্রেম বা বিবাহবিচ্ছেদ মানে আপনার পুরো জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে সেটা নয়। এগুলো জীবনের একটা অংশ। তাই মনোবল শক্ত রেখে এগিয়ে যাওয়াই শেষ লক্ষ্য।