এবার ‘মোনালিসা’ হাঁসি মেটাবে করোনা সংকট
কলকাতা টাইমস :
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে এবার মোনালিসার হাঁসিও বাঁচতে পারলো না। করোনা থেকে ফ্রান্সকে বাঁচাতে মোনালিসা হাঁসি অন্য কারোর ঘরে শোভা পেতে চলেছে। করোনা সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে ফ্রান্সকে ‘মোনালিসা’র মতো বিখ্যাত চিত্রকর্ম চড়ামূল্যে বিক্রি করে সেই অর্থ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন সেই দেশের এক শীর্ষ ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ফেবারনোভেলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ডিস্টিংগুইন সম্প্রতি ফরাসী সাময়িকী উজবেক অ্যান্ড রিকা’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ পরামর্শ দেন।
তার মতে, চিত্রকর্ম সরানো ও হস্তান্তর সহজ। আর ফ্রান্সের কাছে মূল্যবান এমন অনেক চিত্রকর্ম আছে যা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব।
ডিস্টিংগুইন বলেন, ‘২০২০ সালে আমাদের যেখানে যে অর্থ আছে সব জোগাড় করতে হবে। তাই, পারিবারিক অলংকারগুলো বিক্রি করে দেন। নাহলে বিশ্বের মধ্যে শুধু গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক, অ্যামাজন, ডিজনি, নেটফ্লিক্স, আলিবাবা ও টেনসেন্টসের মতো প্রতিষ্ঠানই সাংস্কৃতিক অর্থায়নে অবদান রাখবে।’
বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলো বিক্রি করে কেমন আয় হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘দামটাই এর জটিলতা ও বিতর্কের মূল বিষয়। কার্যক্রমের উদ্দেশ্য বোঝাতে দাম হতে হবে মাথা নষ্ট করা।’
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, মোনালিসা পেতে ৫০ বিলিয়ন ইউরোর কমে হবে না।’
এত বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্ম কারা কিনতে পারেন সে সম্পর্কেও নিজের মতামত জানিয়েছেন স্টিফেন ডিস্টিংগুইন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের জন্য ৫০ বিলিয়ন হচ্ছে তার আয়ের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র। সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তিনি স্ত্রীকে যা পরিশোধ করেছেন তার চেয়ে এটি সামান্যই বেশি।’
ইতালির বিখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৬ শতকে তার অমর সৃষ্টি মোনালিসা চিত্রকর্মটি অঙ্কন করেন। অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য গিওকন্ডোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে শনাক্ত করেছেন। চিত্রকর্মটি বর্তমানে ফ্রান্সের ল্যুভর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ল্যুভর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, জাদুঘরের প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যটক শুধু মোনালিসা দেখার জন্যই আসেন।