November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

এই স্পর্শই ম্যাজিকের কাজ করে শরীর-মনেই রোগে  

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :  
বেষণা বলছে ভালবাসার মানুষটিকে প্রতিদিন যদি এইভাবে ভালবাসার স্পর্শ দেওয়া যায়, তাহলে উভয়েরই অনেক শারীরিক উপকার হয়। এই যেমন কিস করার সময় প্রতি মিনিটে প্রায় ২-৬ ক্যালরি বার্ন হয়। আর এত মাত্রায় ক্যালরি ঝরতে থাকলে যে ওজনও কমে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তাই বলে ওজন কমাতে সারাক্ষণ চুমু খেলে চলবে না কিন্তু! প্রসঙ্গত, বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে এই মিষ্টি প্রেম নিবেদনের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন…
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: জার্নাল অব মেডিকাল হাইপোথিসিস-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে কিস করার সময় ছেলের ঠোঁট থেকে সাইটোমেগালোভাইরাস নামক একটি উপকারি জীবাণু মেয়েদের শরীরে প্রবেশ করে, সেই সঙ্গে আরও সব উপকারি ব্যাকটেরিয়াও এক শরীরে থেকে অরেক শরীরে পৌঁছে যায়, যা উভয়েরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মারাত্মক শক্তিশালী করে তোলে। ফলে রোগ ভোগের আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
২. স্ট্রেস কমায়: ল্যাফায়েত কলেজের গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে কিস করার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে কমে কর্টিজল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও। ফলে মানসিক চাপ কমতে একেবারেই সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, প্রতিযোগীতার ইঁদুর দৌড়ে সমিল হয়ে আজ সবারই অবস্থা বেজায় বেহাল। আসলে কাজের চাপে স্ট্রেস লেভেল এত বাড়ছে যে লেজুড় হচ্ছে নানা মারণ রোগ। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষণিক ঠোঁটের উষ্ণতা যে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৩. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে: শুনে একটু অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হবে না বন্ধুরা, কারণ গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়ে গেছে যে “চুমু” খাওয়ার সময় দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে থাকে যে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমতে থাকে ব্লাড প্রেসারও। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এবার বুঝেছেন তো কীভাবে কিস, হার্টের ভাঙন রোধ করে!
৪. আয়ু বৃদ্ধি পায়: দীর্ঘদিন কি সুস্থভাবে বাঁচতে চান? তাহলে বন্ধু যতই ব্যস্ত হোন না কেন, সময় বার করে ভালবাসার মানুষটিকে একটু আদর করতে ভুলবেন না যেন! কারণ গবেষণা বলছে ভালবাসার পরশ মাখা ঠোঁটের স্পর্শ পেলে শরীর ভিতর থেকে এতটা কর্মক্ষম হয়ে ওঠে যে কম করে ৫ বছর আয়ু বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, কিস করার সময় দেহের অন্দরে উপকারি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই কারণেও কিন্তু আয়ু বাড়তে থাকে।
৫.যন্ত্রণা কমায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে চুমু খাওয়ার সময় দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে ব্লাড ভেসেলেরা অতি মাত্রায় প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ব্যথা কমতে থাকে। বিশেষত মাথা যন্ত্রণা এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমতে একেবারেই সময় লাগে না।
৬. মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: কিস করার সময় আমাদের মুখ গহ্বরের অন্দরে স্যালাইভার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারা দাঁতে নিজেদের ঘর বাঁধার সুযোগই পায় না। ফলে শুধু ক্যাভিটি নয়, কোনও ধরনের মুখ গহ্বরের রোগেই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এবার বুঝেছেন তো আপাত দৃষ্টিতে ভালবাসা প্রকাশের এই মাধ্যমকে আমরা একটু আড় চোখে দেখলেও চুমুর মহিমাকে উপেক্ষা করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।
৭. “হ্যাপি” হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায়: ভালবাসার এই বিশেষ মুহূর্তে ব্রেনের অন্দরে বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণ খুব বেড়ে যায়, যেমন সেরাটোনিন, ডোপামাইন এবং অক্সিটসিন। এই হরমোনগুলির উৎপাদন যত বাড়ে, তত মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে, ফলে দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাই তো সম্পর্কের ভিত আরও শক্ত থেকে শক্ততর হতে সময় লাগে না।

Related Posts

Leave a Reply