সেই ১২ ভূতের বাগানবাড়ি
কলকাতা টাইমস :
বাগানবাড়িতে ছিল কমপক্ষে ১২টি ভূত। আর এ ভূতগুলোর কারণে সম্পূর্ণ বাগানবাড়িটিই পরিত্যক্ত হয়ে যায়। কোনো মানুষই এ বাড়িতে প্রবেশের সাহস তো পেতই না, এমনকি আশপাশ দিয়ে যাতায়াতেও ভয় পেত। এ ভূতদের মধ্যে একজন বিখ্যাত তার সবুজ পাগড়ির জন্য। অনেকেই সবুজ পাগড়ি পরা সেই ভূতকে দেখেছেন বাগানে ঘোরাঘুরি করতে।
বাগানবাড়ির সেই ভূতের পেছনে ছিল করুণ এক কাহিনী। আর এ কাহিনীর উৎপত্তি বহু বছর আগে। সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল। সে দাসদের যে কতভাবে বঞ্চনা করা হত, এ কথা কারও অজানা নেই। আর সে বঞ্চনার প্রতিবাদে দাসরাও মাঝে মাঝে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠত। তেমনই এক ঘটনা এটি।
লুইজিয়ানা রাজ্যের সেন্ট ফ্রান্সিসভাইলে এই বাগানবাড়িটি রয়েছে। এখানে এক ঘটনায় মনিবের নির্দেশে একজন দাসের একটি কান কেটে ফেলা হয়। এরপর ক্লোয়ে নামে সেই দাস সবুজ পাগড়ি দিয়ে তার সেই কানটি ঢেকে রাখত। তবে সে ঘটনার পর একদিন জন্মদিনের কেক বানানোর দায়িত্ব পড়ে ক্লোয়ের। কিন্তু বানানোর সময় তাতে কৌশলে শক্তিশালী বিষ দিয়ে দিয়েছিল।
সেই বিষ দেওয়া কেক অবশ্য গৃহকর্তা মার্ক খাননি। তবে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান কেক খেয়ে মারা যায়। এদিকে দাসদেরও কয়েকজনের মৃত্যু হয় সেই কেক খেয়ে। ফলে বিষয়টি আর শুধু ক্লোয়ের প্রতিশোধে সীমাবদ্ধ থাকেনি।
এরপর অন্য দাসেরাও ক্লোয়ের বিরুদ্ধে চলে যায়। তারা তাকে গাছের ডালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে এবং লাশটি মিসিসিপি নদীতে ফেলে দেয়।
এরপর থেকে সেই বাগানবাড়িটিও ছেড়ে যায় সবাই। তবে সে ঘটনায় নিহতদের আত্মারা বাড়িটিতে রয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তার পরও বিশাল সেই বাগানবাড়িটি থেকে নানা ধরনের কণ্ঠ ও অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেত। অনেকেই ধারণা করে, মৃত্যুর পরও সেখানে থাকা আত্মাদের মাঝে চলমান নানা ঝগড়া-বিবাদের কারণে সেই শব্দগুলো হয়। ফলে আশপাশের লোকজন ভয়ের সঙ্গে এখনও এড়িয়ে চলে বাগানবাড়িটি। সেই বাড়িতে একবার ছবি তোলা হলে অদ্ভুত কিছু দৃশ্য ধরা পড়ে। ঠিক মানুষ নয়, তবুও যেন মানুষের অবয়ব। যদিও সেই ছবির ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি