আমাদের খুব কাছের হয় এই ৫ জনই
কলকাতা টাইমস :
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষের অনেক বন্ধু থাকে। কিন্তু কাছের বন্ধু বলতে একযোগে পাঁচজনকেই পেতে পারে প্রত্যেক মানুষ।
সম্প্রতি এক বিশেষজ্ঞ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলজির এক গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করেন। নব্বইয়ের দশকে ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানী রবিন ডানবার মানুষের মস্তিষ্কের আকারের সঙ্গে সামাজিকতার সম্পর্ক খোঁজেন। এ বিষয়ে ডানবার একটি তত্ত্ব বের করেছেন। যার প্রয়োগে মস্তিষ্কের আাকারের সঙ্গে এ সম্পর্ক সহজেই বেরিয়ে আসে। সমাজে এ ধরনের সম্পর্কের গভীরতা বোঝারও চেষ্টা করেন। একেক মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের একেক ধরনের স্তর রয়েছে। সবচেয়ে কাছের সম্পর্কের স্তরটি গভীরতম ও অর্থপূর্ণ। আর সেখানে সাধারণত পাঁচজনের বেশি বন্ধু থাকেন না।
দ্বিতীয় স্তরে যোগ হন ১০ জন মানুষ। তৃতীয় স্তরে আছেন আরো ৩৫ জন মানুষ। আর শেষ স্তরে থাকতে পারে আরো ১০০ জন মানুষ। সবমিলিয়ে তার সম্পর্কের নানা স্তরে আছেন মোট ১৫০ জন মানুষ।
ব্রিটিশ গবেষকরা তাদের বিশ্লেষণে ডানবারের গবেষণাটি বিবেচনায় রেখেছেন। তারা ২০০৭ সাল থেকে বিপুল পরিমাণ মোবাইল ডেটা পর্যবেক্ষণ করেন। ইউরোপের ৩৫ মিলিয়ন মানুষ ৬ বিলিয়ন কল করেন। তারা ১০০ জন মানুষের কল বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের কল থেকে দেখা গেছে, মাত্র ৪-৫ জনকে তারা অনেক বেশি কল করেছেন। এরা কল প্রদানকারীর কাছের মানুষ বলে ধরে নেওয়া যায়। কলের ক্ষেত্রে ডানবারের সামাজিক স্তরের চক্রটা অনেকটা মিলে যায়। অন্যান্য কলের সংখ্যার সঙ্গে তার সম্পর্কের অন্যান্য স্তরগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
প্রধান গবেষক ম্যাক ক্যারন জানান, অধিকাংশ মানুষেরই খুব কম সংখ্যক কাছের মানুষ থাকেন। তবে বিষয়টি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে এ স্তরের সম্পর্কে বন্ধুর সংখ্যা ১-১৫ পর্যন্ত হতে পারে।
মানুষের আচরণ ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গবেষণাটি বেশ আকর্ষণীয় তথ্য প্রদান করে। আমরা জীবনে যাদের আপন ও কাছের মনে করি, তাদের সংখ্যা নির্দিষ্ট হওয়া বেশ বিস্ময়কর ব্যাপার। এভাবে সামাজিক সম্পর্কে নানা স্তরে পরিচিতির সংখ্যা সবার ক্ষেত্রে প্রায় একইরকম থাকে।