মৃত্যুর পরও শতাব্দী ধরে অবিকল দেহে যারা
কলকাতা টাইমস :
সমাজতান্তিক এবং বামপন্থী নেতারা নিজেদের ভাবমূর্তি, এমনকি চেহারার বিষয়েও যথেষ্ট সচেতন। সে কারণে কয়েকজন নেতার চেহারা মৃত্যুর পরেও যেন অবিকৃত থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়।
তাদের অন্যতম হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং। ২০ শতকের খুব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তিনি। চীন পরাশক্তি হয়ে ওঠে তার হাত ধরেই। যদিও সাত কোটি মানুষের মৃত্যুর পেছনে দায় রয়েছে তার। এই নেতা ১৯৭৬ সালে মারা যান। মৃত্যুর পর অবিকৃত রয়েছে তার দেহ। বেইজিংয়ের এক রাজকীয় সমাধিতে ফর্মালডিহাইড দিয়ে সেভাবেই রাখা হয়েছে মরদেহ।
এর পরেই রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম নেতা কিম ইল সাং। দুই কোরিয়ার যুদ্ধ শুরু করার জন্য ইতিহাস তাকে ভুলবে না। উত্তর কোরিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন শুরুও করেন তিনি।
তবে তাতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসেনি। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত হয়ে যায় উত্তর কোরিয়া। ১৯৯৪ সালে ৮২ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কিম ইল সাং। ১০ দিন জাতীয় শোক পালনের পর কুমসুসান প্যালেস অব সান-এ মরদেহ সংরক্ষণ করা হয় তার।
আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে কিম জং ইল এর বিরুদ্ধে।২০১১ সালে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান তিনি। উত্তর কোরিয়ায় ‘চিরন্তন নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেতার মরদেহ অবিকল রাখা আছে কুমসুসান প্যালেস অব সান-এ।
ভিয়েতনামের অবিসংবাদিত নেতা হো চি মিন-কেও ইতিহাস মনে রাখবে দুটি কারণে। তার কারণে ফরাসি শাসকরা ভিয়েতনাম ছাড়তে বাধ্য হয়। দক্ষিণ ভিয়েতনাম ও মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে উত্তর ভিয়েতনামকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। যুদ্ধে জয় অবশ্য দেখে যেতে পারেননি, তার আগেই মৃত্যু হয় তার।
লেনিন ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অক্টোবর বিপ্লবের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মনে করা হয় তাকে। ১৯২৪ সালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর মগজ বের করে নিয়ে তার মরদেহ মস্কোর রেড স্কয়ারে সংরক্ষণ করা হয়।