ট্রাম্প সমর্থকদের কর্মে বিরক্ত, পদত্যাগ কর্মকর্তাদের
কলকাতা টাইমস :
মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ইউএস ক্যাপিটলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া আরও কয়েকজন পদত্যাগ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস, সোশ্যাল সেক্রেটারি রিকি নিকেটা ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ স্টেফানি গ্রিশ্যাম বুধবার রাতে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে সারাহ ম্যাথিউস বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনে সেবা দিতে পেরে এবং যে নীতিগুলো আমরা গ্রহণ করেছি তাতে আমি গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমি যা দেখেছি তাতে আমি ভীষণভাবে বিরক্ত। আমি আমার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি যা এই মুহূর্ত থেকে কার্যকর হবে। আমাদের জাতির একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রয়োজন।’
মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ গ্রিশ্যাম এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসে কাজ করে দেশকে সেবা দিতে পারাটা গর্বের ব্যাপার। মেলানিয়া ট্রাম্পের মিশনে বিভিন্ন স্থানে শিশুদের সহযোগিতা করতে পেরে ও এই প্রশাসনের অনেক অর্জনের অংশ হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।’
স্টেফানি গ্রিশ্যাম ও রিকি নিকেটা ট্রাম্প প্রশাসনে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করা কর্মকর্তাদের অন্যতম। গ্রিশ্যাম এর আগে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও পদত্যাগের বিষয়ে বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট। এদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক রবার্ট ওব্রেইন, উপ জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক ম্যাট পটিংগার ও ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ক্রিস লিডেল।
বুধবার আইন প্রণেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে এক যৌথ অধিবেশনে বসেছিলেন। এসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ওই ভবনে ঢুকে পড়েন। এ ঘটনার পরপরই হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের পদত্যাগের খবর আসতে থাকে। আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের শপথ নেয়ার ১৪ দিন আগে কর্মকর্তাদের এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটলো।
ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটাল ভবনে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করলে আইন প্রণেতারা অধিবেশনে বিরতি দিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। বিবিসি জানিয়েছে, এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশের দ্বারা এক নারী গুলিবিদ্ধ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রধান রবার্ট কন্টি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুটি পাইপ বোমা ও এক কন্টেইনার ভর্তি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত ৫২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে যাদের অধিকাংশই কারফিউ ভাঙার দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন।