হাওয়া বদলের ইচ্ছে হলে চলে যান সৌন্দর্য্যের খনি তিঞ্চুলে
করোনা ভাইরাসের পরবর্তী পৃথিবীতে বাড়িতে আর বসে না থেকে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ভ্রমণ-পিপাসু বাঙালি। সেই মতো শুরু হয়েছে অনুসন্ধান। কাছেপিঠে কোন নিরিবিলি পার্বত্য এলাকায় তাঁবু খাটানো যায়, তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। সেই অনুসন্ধানের সেরা ঠিকানা হতে পারে সৌন্দর্য্যের খনি তিঞ্চুলে। তিঞ্চুলের অবস্থিতি দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত এই পার্বত্য এলাকা তাকদাহ থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্ব অবস্থিত।
সমুদ্রতল থেকে প্রায় ছয় হাজার ফুট উচ্চতার এই স্থান কালিম্পং পাহাড়ের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে। কেন তিঞ্চুলে চুলা বা চুলে শব্দের মাধ্যমে চুল্লি বা ওভেনকে বোঝানো হয়েছে। তিনটি ছোট পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চল। দূর থেকে যার শোভা চুল্লি বা ওভেনের মতো মনে হয়। সে অনুযায়ী এই এলাকার নামও রাখা হয়েছে তিঞ্চুলে।
কীভাবে পৌঁছবেন : শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে পৌঁছতে হবে শিলিগুড়ি। বাস বা বিমানেও পৌঁছে যাওয়া সে শহরে। এরপর সড়কপথে ৭৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে বাস, ট্যাক্সি প্রাইভেট গাড়িকে সারথি বানানো যায়। তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়।
দর্শনীয় স্থান তিঞ্চুলের মূল আকর্ষণ কমলা অর্কিডের বন। রয়েছে এক সুদৃশ্য মনেস্ট্রি। যেখানে এক লামা ১৭ বছর ধরে ধ্যানমগ্ন ছিলেন বলে কথিত রয়েছে। খুব কম দূরত্বের মধ্যে পাহাড়ের কোল বেয়ে নেমে আসা ছ’টি চা বাগান এলাকার সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে। তিঞ্চুলে ভিউ পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয় দেখার মজাই আলাদা। গুমবাদারা ও লাভার্স ভিউ পয়েন্ট দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কোন সময় যাওয়া উচিত অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে তিঞ্চুলে যাওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত। কারণ এই সময় আকাশ পরিষ্কার থাকে। পাহাড় এবং উপত্যকার শোভা আরও স্পষ্ট হয় এই সময়।