অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের কোনো লাভ নেই যদি না মানেন এই ৭টি নিয়ম
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মানুষ হয়ে জন্মেছেন যখন রোগ ব্যাধিতে ভুগতেই হবে। এর থেকে বেঁচে থাকার কোনও উপায় নেই। তবে রোগের প্রকোপ কমানোর হাজারো উপায় রয়েছে। যার অন্যতম হল অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা। যাকে আধুনিক চিকিৎসা হিসেবেও বিবেচিত করে থাকেন অনেকে। একথা ঠিক যে অ্যালোপ্যাথি মেডিসিন বাজারে আসার আগে পর্যন্ত যেসব উপায়ে চিকিৎসা করা হত, ততে ফল মিলত ঠিকই, কিন্তু রোগ সারতে অনেক সময় লেগে যেত, যা আধুনিক ওষুধের কল্যাণে এখন আর হয় না বললেই চলে। তবে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে হবে। না হলে কিন্তু কোনও সুফল পাওয়াই যাবে না। তাই তো অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা চলাকালীন এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা জরুরি। আসলে অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিন তৈরি করার সময় নানাবিধ কেমিকেলের ব্যবহার হয়ে থাকে, যা নিয়ম মেনে শরীরে প্রবেশ না করলে উলটো ফল হতে পারে। তাই সাবধান!
নিয়ম ১: যে কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের থেকে জেনে নেবেন কী কী খাবার আপনি খেতে পারবেন, আর কী কী পারবেন না। কারণ অনেক সময় ওষুধের সঙ্গে খাবারের বিরূপ রিঅ্যাকশন হয়ে বাজে কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এই সাবধানতাটা অবলম্বন করা জরুরি।
নিয়ম ২: অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সময় মদ্যপান বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ ওই বিশেষ ওষুধটি তৈরি করতে যে কেমিকাল ব্যবহার করা হয়েছে তার সঙ্গে অ্যালকোহলের উলটো রিঅ্যাকশন হয়ে শরীরের আরও ক্ষতি হতে পারে। তাই সাবধান!
নিয়ম ৩: ওষুধ খাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি আপনার বমি হয়ে যায়, তাহলে আরেকবার সেই ওষুধটি খেতে হবে। কারণ যে কোনও অ্যালোপ্যাথি মেডিসিন খাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পরে সেটি রক্তে মেশে। তাই এই সময়ের আগে যদি শরীর থেকে ওষুধটি বেরিয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে ওই ওষুধটি শরীরের কোনও কাজেই লাগেনি।
নিয়ম ৪: ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রোগ সেরে যাবে, এমন ভেবে ফেলাটা বোকামি। তাই যে কোনও ওষুধ খাওয়ার পর একটু অপেক্ষা করবেন। তার পরেও যদি দেখেন কাজ হচ্ছে না, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ বদল করবেন। প্রসঙ্গত, কোনও নিয়ম না মেনে নানাবিধ ওষুধ অল্প সময়ের ব্যবধানে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
নিয়ম ৫: অ্যান্টিবায়োটিক খেতে খেতে হঠাৎ করে খাওয়া ছেড়ে দেবেন না। এমনটা করলে কিন্তু শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হয়ে যাবে। ফলে পরবর্তি কালে ওই শ্রেণীর কোনও অ্যান্টিবায়োটিকই আর কাজ করবে না। তাই চিকিৎসক যত দিন ওষুধটি খেতে বলেছেন, তত দিন খেয়ে যাবেন। সুস্থ হয়ে গেলও বন্ধ করবেন না।
নিয়ম ৬: আপনি কি প্রতিদিন কিছু না কিছু সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন? তাহলে যে কোনও অ্যালোপ্যাথি মেডিসিন খাওয়া শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। কারণ সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে অ্যালোপ্যাথি মেডিসিনটি বিক্রিয়া করে শরীরে ক্ষতি হতে পারে।
নিয়ম ৭: অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর থেকে নানা ধরনের সাইড এফেক্ট হচ্ছে? তাহলে একটু দই খেয়ে নিন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। সব ক্ষেত্রেই যে এই টোটকা কাজ করবে, এমন নয় কিন্তু! কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুন উপকারে লেগে যায়।